|
|
|
|
বনধ, অবরোধে বিপর্যস্ত অসম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
২০ জানুয়ারি |
একদিকে, অল বড়ো মুসলিম ছাত্র সংগঠনের বনধ, অন্যদিকে অসম চা মজদুর সঙ্ঘের অবরোধ। অন্যদিকে, কামপুরে রেল অবরোধ এবং উজানি অসমে ভোজপুরী ছাত্র সংগঠনের ধর্মঘট। একই দিনে বিভিন্ন সংগঠনের ডাকা বনধ-অবরোধে রাজ্যের জনজীবন আংশিক বিপর্যস্ত হল।
বড়োভূমি ও শোণিতপুরে এনডিএফবি-র হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ এবিএমএসইউ, ভোজপুরী ছাত্র সংগঠন বনধ ডাকে। বড়োল্যান্ডে দু’টি মিছিল বের করে আবসু ও বিপিএফ। নবগঠিত ‘ন্যাশনাল সোস্যাল কাউন্সিল অফ আদিবাসী’র হাতে চা নেতা নিরঞ্জন পাত্রের খুনের প্রতিবাদে বনধ ডাকে চা মজদুর সঙ্ঘ।
এবিএমএসইউয়ের বন্ধে উদালগুড়িতে একটি গাড়ির দু’জন সওয়ারিকে মারধর করা হয়। রঙিয়ায় একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা গাড়িতে থাকা যাত্রীদের বাঁচান। চিরাং-এর সিদলিতে একটি গাড়ির চালককে মারধর করে অবরোধকারীরা। চা মজদুর সঙ্ঘের বন্ধে টিওক, নুমালিগড়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। টিওকে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। অন্যদিকে, নগাঁওয়ের কামপুরে দূরপাল্লার ট্রেন থামানো, উড়ালপুল তৈরি ও স্টেশনের উন্নয়নের দাবিতে সকাল থেকে বেলা ১টা অবধি রেল অবরোধ চালানো হয়। তার জেরে ৭টি ট্রেন দীর্ঘক্ষণ আটকে ছিল। আদিবাসী নেতা নিরঞ্জন পাত্রকে খুনের প্রতিবাদে আটসা নগাঁওয়ে আমোনিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়।
কোকরাঝাড়ে আবসু ও বিপিএফ-এর মিছিল এবং জনসভায় এনডিএফবি (সংবিজিৎ)-এর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অসম সরকারের কাছে বড়োভূমিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও করা হয়েছে। হিন্দিভাষীদের উপরে জঙ্গি আক্রমণের প্রতিবাদে ভোজপুরী ছাত্র সংগঠনের বনধ তিনিসুকিয়ায় বেশি প্রভাব ফেলে। সেখানে ১২ জন বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এনডিএফবি (সংবিজিৎ) গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক বি সাওরাইগাওরা এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, তারা ‘ভারতীয়’ কোনও সম্প্রদায়ের বিপক্ষে নয়। কিন্তু, নিরীহ বড়োদের উপরে ভারতীয় বাহিনীর অত্যাচারই তাদের চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।
রাজ্য সরকার জানায়, এনডিএফবি (সংবিজিৎ) বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী পুরোদমে অভিযান শুরু করেছে। আজ জঙ্গি সন্দেহে ৪৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|