সন্ত্রাস প্রশ্নে কূটনৈতিক চাপান-উতোরের মধ্যেই দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির বাণিজ্য সম্মেলনে নয়াদিল্লি এসেছিলেন পাক বাণিজ্যমন্ত্রী খুররম দস্তগির খান। সাউথ ব্লকের প্রতি তাঁর অনুরোধ, দু’টি পাক ব্যাঙ্ককে ভারতে কাজ করার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হোক। বিনিময়ে ভারতের দু’টি ব্যাঙ্ককেও ইসলামাবাদে কাজ করার অনুমতি দিতে রাজি পাকিস্তান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক।
দু’দেশের মধ্যে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপের প্রশ্নে আগেও এই প্রস্তাবটি নিয়ে কথা বলেছে দু’দেশ। এ বারে সাংবাদিক বৈঠকেও বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন পাক বাণিজ্যমন্ত্রী। খুররমের কথায়, “বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা হয়েছে। ব্যাঙ্কিং শিল্প দ্রুত বাড়ছে পাকিস্তানে। এক দেশ যদি অন্য দেশে তাদের ব্যাঙ্ক চালু করতে পারে, তা হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে।”
বিষয়টি নিয়ে ভারত এখনও ইতিবাচক ইঙ্গিত পাকিস্তানকে দেয়নি। জাল নোট থেকে ইসলামিক ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগ, সে সম্পর্কিত প্রমাণ সাউথ ব্লকের কাছে রয়েছে। তাই পাক ব্যাঙ্ককে ভারতে কাজের ছাড়পত্র দেওয়ার আগে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটি দেখা দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মাকে আশ্বস্ত করে পাক বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, এই সন্ত্রাসে তাঁদের ভূমিকা নেই। আর পাকিস্তানের সার্ক চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতিকার আলি মালিকের দাবি, নয়াদিল্লির কাছে যে ব্যাঙ্কগুলির লাইসেন্স চাওয়া হচ্ছে, সেগুলির পিছনে জঙ্গি সংগঠন নেই। সেগুলি সরকারি। ফলে সাউথ ব্লকের শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বৈঠকের শেষে একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। পাক বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে পাক সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেলওয়ে, শুল্ক, বস্ত্র শিল্প, পর্যটন, ব্যাঙ্কিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে দু’দেশের টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ-এর মধ্যে বৈঠক বাড়ানো হবে। ফেব্রুয়ারিতে ফিকি ও পাকিস্তানের ‘ট্রেড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’-র যৌথ উদ্যোগে ‘ইন্ডিয়া শো’ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। |