ঘেরাওয়ে এসে পুরপ্রধানকে না পেয়ে এ বার সরাসরি উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ের ইস্তফা দাবি করলেন অনশনকারী কাউন্সিলরেরা। তাঁদের আরও দাবি, সিউড়ির পুরপ্রধান নিজের পদ থেকে ইস্তফা না দিলে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে অবিলম্বে ওই পুরসভায় এক জন প্রশাসক নিয়োগ করুক। সোমবারই ছিল তৃণমূলের ওই বিদ্রোহী কাউন্সিলরদের অনশনের পঞ্চম দিন। অনশনকারীদের পক্ষে কাউন্সিলর ইয়াসিন আখতার বলেন, “আমি পুরপ্রধানকে অনুরোধ করছি, তিনি নিজেকে অবিলম্বে শুধরে নিন। এমন অন্যায় করবেন না, যে অন্যায়ে পাপ হয়।” তাঁর দাবি, উজ্জ্বলবাবু নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত প্রমাণ করতে পারলে, ভবিষ্যতে তাঁরা তাঁকে সব রকমের সাহায্য করবেন।
এ দিন সকাল থেকেই অনশনকারীদের সমর্থনে কয়েকশো মানুষ সিউড়ি পুরসভা চত্বরে জড়ো হতে শুরু করেন। কিন্তু পুরপ্রধান এবং উপপুরপ্রধান কেউ-ই এ দিন পুরসভায় আসেননি। আন্দোলনরত কাউন্সিলরদের দাবি, মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ার ভয়েই উজ্জ্বলবাবু পুরসভায় আসেননি। সমর্থকদের কেউ কেউ বলেন, “পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ উঠেছে। তিনি সৎ হলে সিউড়ির মানুষের কাছে তিনি তার উত্তর দিতেন। এ ভাবে পালিয়ে যেতেন না।” উল্টো দিকে অনশনকারীদের অন্যতম প্রাক্তন পুরপ্রধান তপন শুকুল বলেন, “আমার সময়ে কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা নিয়ে যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত। উজ্জ্বলবাবু এমন কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি তো?” পুরসভার ভিতরে আসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে দীপকবাবু আবার পুরপ্রধানের চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করলেএ এ দিন দলীয় ওই কাউন্সিলরদের অনশন আন্দোলনের চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন উজ্জ্বলবাবু। তাঁর দাবি, “ওখানে অনশন-টনশন কিছু হচ্ছে না। অন্ধকার নামলেই আন্দোলনকারীরা যে যার মতো বাড়ি ফিরে যান। সকাল হলেই চারপাশ দেখে আবার হাজির হন!” এ দিন একটি সরকারি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় তিনি ঘেরাওয়ের সময় পুরসভায় ছিলেন না বলে দাবি করেছেন। আর দীপকবাবুর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এক জন কাউন্সিলর ক্ষমতা দখলের জন্য এত নোংরা হতে পারেন তা আমার ভাবতেও লজ্জা হয়।” দীপকবাবুরা অনশন নিয়ে উজ্জ্বলবাবুর তোলা অভিযোগ মানতে চাননি। |