রাস্তায় গরু-মোষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বহু পথচারী। শিল্পাঞ্চল শহর দুর্গাপুরে এ ধরনের সমস্যার জেরে খোয়াড় তৈরির ভাবনা-চিন্তাও শুরু করেছে দুর্গাপুর পুরসভা।
শহরের লিঙ্ক রোড ধরে যাচ্ছিলেন রাজেন সাউ নামে এক ব্যক্তি। একটি গরু মোটরবাইকের সামনে এসে পড়ায় সরাসরি ধাক্কা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ডাক্তারের পরামর্শে সাত দিন বাড়িতে থাকতে হয়। দুই স্কুলছাত্র সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ মাঠ থেকে এক দল মোষ চলে আসায় তারা উল্টে পড়ে রাস্তায়। চোট লাগে হাতে-পায়ে। প্রতিবেশীর সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ একটি গরু তাঁর দিকে দৌড়ে আসায় পড়ে গিয়ে হাতে চোট পান তিনি। |
গরু-মোষের রাস্তায় চলাচলের জেরে বিভিন্ন এলাকায় সমস্যায় পড়ছেন পথচারীরা। তাঁদের অভিযোগ, কখনও কখনও গরুর মালিক দূর থেকে দেখেন। দুর্ঘটনা দেখলে তাঁরা আর ধারেকাছে আসেন না। প্রতি দিন নানা খাটাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গরু-মোষ চরাতে আসেন অনেকে। মাঝে-মধ্যে বাড়ির সীমানায় ঢুকে গিয়ে ফুল-সব্জিও নষ্ট করে বলে অভিযোগ। শহরের বাসিন্দা সুমিত আঢ্য, বরুণ মহন্তদের অভিযোগ, “মোটরবাইক ভয়ে ভয়ে চালাতে হয়। কখন সামনে গরু-মোষ চলে আসে, ঠিক নেই!” ডিএসপি-র জনসংযোগ আধিকারিক বিভুরঞ্জন কানুনগো জানান, বিষয়টি তাঁরা বারবার পুরসভাকে বলেছেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি।
দুর্গাপুরের মেয়র অর্পূব মুখোপাধ্যায় জানান, শহরের রাস্তায় এ ভাবে গরু-মোষ ঘুরে বেড়ানো বড় সমস্যা। যত শীঘ্র সম্ভব একটি খোয়াড় তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপাকে ডিএসপি-র সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। |