শহরে গত কয়েক বছরে অনেক গুণে বেড়েছে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) চালিত যানবাহনের সংখ্যা। কিন্তু সিএনজি ভরার জায়গা না বাড়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে গাড়ির মালিক ও চালকদের। এই অভিযোগ জানিয়ে শহরে আরও তিনটি সিএমজি ভরার জায়গা তৈরির দাবিতে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী টি মইলিকে চিঠি পাঠিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সাইদুল হক।
দুর্গাপুর শহরে সিএনজি চালিত অটো রিকশা চালু হয় ২০০৮ সালে। তখন অটোর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮০টি। সিএনজি ভরার জায়গা ছিল দু’টি। বর্তমানে অটোর সংখ্যা তার থেকে দশ গুণ বেড়েছে। তার উপরে যোগ হয়েছে শ’পাঁচেক অন্য নানা সিএনজি চালিত গাড়ি। কিন্তু গ্যাস ভরার পয়েন্টের সংখ্যা সেই দু’টি। তার মধ্যে একটি আবার মাঝে-মাঝেই বিকল হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার পাম্পে পয়েন্ট খুলে সেখানে ট্যাঙ্কে করে সিএনজি সরবরাহ করে থাকে বেসরকারি গ্যাস সংস্থা। বিনিময়ে ওই তেল সংস্থা এবং পাম্পের মালিক ‘কমিশন’ পান। বর্তমানে গ্যাস ভরার জন্য দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে সিটি সেন্টারের সেই পয়েন্টটিতে। তুলনায় মেন গেট এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের পয়েন্টটি প্রায় ফাঁকা থাকে। অভিযোগ, সেই পয়েন্টটি মাঝে মাঝে বিকল হয়ে পড়ে। তা ছাড়া সেটির অবস্থানগত দূরত্বের জন্য গ্যাস ভরতে যাওয়াও ব্যয়সাপেক্ষ। ফলে সিটি সেন্টারের পয়েন্টটিতে ভিড় লেগেই থাকে। অবিলম্বে শহরে আরও কয়েকটি এমন পয়েন্ট খোলার দাবি তুলেছেন অটো চালকেরাও।
সম্প্রতি সিএনজি চালিত অটোর চালকদের সংগঠন ‘দুর্গাপুর সিএনজি অটো অপারেটর্স’-এর তরফে সমস্যার কথা চিঠি দিয়ে জানানো হয় সাংসদ সাইদুল হককে। সাংসদ জানান, ইতিমধ্যে তিনি বিষয়টি নিয়ে লিখিত ভাবে দরবার করেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর কাছে। তিনি জানান, শহরে মুচিপাড়া, দুর্গাপুর স্টেশন এবং ইস্পাতনগরীর এক জায়গায় সিএনজি ভরার পয়েন্ট খোলার আর্জি জানিয়েছেন। সাংসদ বলেন, “তাহলে শহরের সব জায়গা থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব গেলেই গ্যাস ভরার স্টেশন মিলবে। অটো চালক এবং সিএনজি গাড়ি মালিকদের সমস্যা মিটবে।” |