ট্রফি জিতেই বিষ্ণু ছুটলেন লি-কে এসএমএস করতে
সাত বছর পর জাতীয় গ্রাসকোর্ট টেনিস চ্যাম্পিয়নের ট্রফি জিতে প্রায় দৌড়তে দৌড়তে সাউথ ক্লাবের লকাররুমে যাওয়ার পথে বিষ্ণু বর্ধন বলে গেলেন, “একটু পরেই চেন্নাইয়ের ফ্লাইট আমার। তার আগেই লিয়েন্ডার পেজকে এসএমএস করে সুখবরটা দিতে হবে। অলিম্পিকে লিয়েন্ডার স্যরের পার্টনার হয়ে আমি টেনিসের অনেক কিছু শিখেছি।”
সাত মাস চোটের পর কোর্টে ফিরে ওয়াইল্ড কার্ডে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপই বিষ্ণুর প্রথম টুর্নামেন্ট। আর সেখান থেকেই তুলে নিলেন কলকাতায় ১০ ফেব্রুয়ারি এটিপি চ্যালেঞ্জারে সরাসরি খেলার ওয়াইল্ড কার্ডও। তার জন্য অবশ্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন, নবপরিণীতা স্ত্রীকে। গত মাসেই বিয়ে হয়েছে বিষ্ণুর। “ও আমার যেন টেনিস সেক্রেটারিও! আমার খেলার সমস্ত ব্যাপারে সাহায্য করে। এখানেও দেখছেন, আমার ইন্টারভিউগুলোও মোবাইলে ভিডিও করে রাখছে!”

দুই জাতীয় গ্রাসকোর্ট চ্যাম্পিয়ন নাতাশা এবং বিষ্ণু।
শনিবার সাউথ ক্লাবে। ছবি: উৎপল সরকার।
ভারতে এ বার তিনটে এটিপি চ্যালেঞ্জার, চারটে আইটিএফ ফিউচার্স। বিষ্ণু এক বছরের মধ্যে ডেভিসকাপার এবং অলিম্পিয়ান হয়ে উঠলেও চোট সমস্যায় এই মুহূর্তে ভারতীয় টেনিসে প্রথম সারিতে নেই। শনিবার দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যমণ্ডিত ঘাসের কোর্ট তাঁকে হারানো জায়গা অনেকটা ফিরিয়ে দিল সন্দেহ নেই। “এখন আমার লক্ষ্য চেন্নাই চ্যালেঞ্জারেও ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়া। তার পর এই সব আন্তর্জাতিক ট্যুরে ভাল খেলে যত বেশি সম্ভব পয়েন্ট জোগাড় করে ফের জাতীয় দলে ঢোকা। সাউথ ক্লাব আমার কাছে খুব লাকি,” ফাইনালে রেকর্ড সংখ্যক ২৫টা ‘এস’ মেরে সতীর্থ তামিলনাড়ু প্লেয়ার দ্বিতীয় বাছাই মোহিত জয়প্রকাশকে ৬-৪, ৭-৬ (৭-৪) হারিয়ে বলছিলেন বিষ্ণু।
মেয়েদের জাতীয় গ্রাসকোর্ট চ্যাম্পিয়ন গোয়ার নাতাশা পালহা-রও কতকটা সে রকমই অনুভূতি। চার বার জাতীয় জুনিয়র ফাইনালে উঠলেও কখনও জেতেননি। কিন্তু সাউথ ক্লাবে দ্বিতীয় বার সিনিয়র ন্যাশনাল ফাইনাল খেলে চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি হাতে। ফাইনালে বর্ষীয়ান রুশ্মি চক্রবর্তীকে ৬-১, ৬-২ উড়িয়ে দিয়ে গত বারের ফাইনালের হারেরও মধুর শোধ তুললেন। যদিও রুশ্মির (সঙ্গী ভুবনা কালভা) কাছেই ডাবলস ফাইনালে হেরে নাতাশা (সঙ্গী নিধি চিলুমুলা) দ্বিমুকুট খোয়ালেন। “সেটা হলে নিখুঁত পারফরম্যান্স করেছি বলতাম। তবে সাউথ ক্লাবে খেলতে আমার খুব ভাল লাগে,” বলে গেলেন পুণের টেনিস অ্যাকাডেমিতে থাকা গোয়ান তরুণী।
অবশ্য বিষ্ণু-নাতাশাদের কথাগুলো দেশের তারকা টেনিস প্লেয়ারদের মুখে শুনতে পারলে বোধহয় জাতীয় গ্রাসকোর্ট টুর্নামেন্টের পক্ষে মঙ্গল হত। শহরে এখন বেটন কাপ হকি আর জাতীয় গ্রাসকোর্ট টেনিসের এক দশা! কৌলিন্যই সার। না আছে স্পনসরের দাক্ষিণ্য, না মোটা প্রাইজমানি, না টুর্নামেন্টের প্রতি শীর্ষ প্লেয়ারদের আকর্ষণ। নভেম্বর-ডিসেম্বরে টেনিস প্লেয়ারদের অফ সিজনে জাতীয় টুর্নামেন্ট করলে কেমন হয়? সোমদেব, য়ুকিরা ‘সার্কিটে ব্যস্ত’ অজুহাত অন্তত দিতে পারবেন না। মহেশ ভূপতি ক্রিকেটের আইপিএলের ধাঁচে টেনিসের আইটিপিএল ডিসেম্বরের অফ সিজনে করার কথা যদি ভাবতে পারেন, এআইটিএ বা সাউথ ক্লাবের ভাবতে ক্ষতি কী?




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.