|
|
|
|
নেতাদের ভোটের পাঠ, নয়া ভূমিকায় কমিশন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এত দিন দায়িত্ব ছিল পরীক্ষা নেওয়ার। এ বারে তার সঙ্গেই জুড়ছে শিক্ষকের দায়িত্বও।
লোকসভা ভোটের আগে এ বার রাজনৈতিক দলগুলিকে ভোট সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই জাতীয় কিংবা প্রাদেশিক স্তরের স্বীকৃত দলগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। কমিশনের স্বীকৃতি নেই এমন দল এবং নির্দল প্রার্থীরা মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর এই প্রশিক্ষণের আওতায় আসবেন। কমিশন সূত্রের খবর, ২৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। তার পরের ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হবে জেলাগুলিতেও। শুধু এ রাজ্যেই নয়, গোটা দেশেই এই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
কেন হঠাৎ এমন প্রশিক্ষণ শুরু করছে কমিশন?
আগের নানা অভিজ্ঞতা থেকে কমিশনের কর্তারা দেখেছেন, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য কী ধরনের নথির প্রয়োজন, কী ভাবে তা জমা দিতে হয়, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকে প্রার্থীদের। দলীয় প্রতীক নেই, এমন প্রার্থীদের প্রতীক পাওয়া নিয়েও নানা ধন্দ দেখা দেয়। এর বাইরে রয়েছে, নির্বাচনের আগে বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে গোলমালও। কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, নির্বাচনী বিধির কথা সব রাজনৈতিক দল জানলেও তার বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে অনেক সময় স্পষ্ট ধারণা থাকে না। অনেক সময় আবার অভিযোগের ভিত্তি থাকলেও কী ভাবে তা কমিশনকে জানাতে হবে, তা নিয়েও ধন্দ থাকে অনেকের।
অভিযোগ জানানো নিয়ে যেমন ধারণা স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হবে, তেমনই নির্বাচনী বিধি নিয়েও প্রার্থীদের সড়গড় করার চেষ্টা করবে কমিশন। অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচনী বিধি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকলে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ কম উঠবে। এড়ানো যাবে এ ধরনের নানা সমস্যা-ও। মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার পর খরচের হিসেব কী ভাবে রাখতে হবে, কত বার পর্যবেক্ষককে তা দেখাতে হবে, অথবা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর কী ভাবে হিসেবের নথি কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে প্রশিক্ষণ পর্বে তা-ও জানানো হবে।
ভোটের দিন বুথে এবং গণনার দিন গণনাকেন্দ্রে প্রার্থীদের এজেন্টের ভূমিকা এবং কর্তব্য নিয়েও নানা অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়েও কমিশনের সর্বশেষ নির্দেশাবলী নিয়ে প্রার্থীদের ওয়াকিবহাল করা হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর। |
|
|
|
|
|