|
|
|
|
নীতীশ-লালু দ্বন্দ্বের দর্শক সুশীল শিন্দে
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা
১৮ জানুয়ারি |
মঞ্চে পর পর চেয়ার। বাঁ দিক থেকে বসে আছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ। শিন্দের ঘাড় এক বার ঘুরছে ডান দিকে, পরের মুহূর্তে বাঁ দিকে। রাজ্যের দুই যুযুধান চরিত্রের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন কথাবার্তা। কারণ তাঁর দু’পাশের দু’জনের মধ্যে যে আড়ি।
একটি হিন্দি দৈনিকের পটনা সংস্করণের উদ্বোধনী মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ডাক পড়ল লালুপ্রসাদের। সুযোগ ছাড়লেন না আরজেডি প্রধান। শুরুই করলেন বিহারে সংবাদপত্রের বর্তমান ভূমিকাকে আক্রমণ করে। নাম না করে, “বিহারে তো এখন সরকারি বিজ্ঞাপনের লোভ দেখিয়ে কিছু লোক খবরের কাগজের সব জায়গাই দখল করে নিচ্ছে।” |
|
এক মঞ্চে দুই যুযুধান। একে অন্যের প্রতি বাক্যবাণ ছুড়তেও ভুললেন না। তবে
শিন্দের
বক্তব্য বক্তৃতার সময়ে দু’একটি বাক্য বিনিময়ও হল নীতীশ কুমার
এবং লালু প্রসাদের মধ্যে। শনিবার পটনায়। ছবি: পিটিআই। |
পরবর্তী বক্তা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারই বা এমন অভিযোগের উত্তর দেওয়ার সুযোগ ছাড়বেন কেন! সম্প্রতি দেশের আর পাঁচ জন রাজনীতিকের মতোই লালুপ্রসাদ ‘টুইটার’-এ ‘লগ ইন’ করেছেন। প্রতিপক্ষের নাম না করে নীতীশ শুরু করলেন, “ইদানীং প্রবীণ প্রজন্মের কিছু কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়ার স্রোতে গা ভাসাচ্ছেন। কোথাও তো থামতে জানতে হয়।”
নীতীশ বলে যান, “একটা সময় ছিল যখন বিহারে খবরের কাগজের কোন পাতায় কোন ছবি, কোন খবর যাবে তা-ও তাঁরা ঠিক করে দিতেন।” নীতীশের কটাক্ষে মুহূর্তে লাল লালুপ্রসাদ। পরোক্ষ নয়, প্রত্যক্ষ আক্রমণ শোনা যায় তাঁর গলায়, “বিহারে ওঁর খবর-ছবি ছাড়া কোনও কাগজই ছাপা হয় না।” এ বার হেসে ফেলেন নীতীশ, হো হো করে হেসে ওঠেন শিন্দে। লালুকে হাত জোড় করে নমস্কার করে সংবাদমাধ্যমকে নীতীশ বলেন, “আমার খবর লাগবে না, আপনারা ওঁর খবর-ছবিই ছাপান।” অগত্যা প্রতি-নমস্কারের জন্য হাত ওঠে লালুপ্রসাদেরও। |
|
|
|
|
|