|
|
|
|
ছ’জেলায় বাড়ল নজরদারি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অসমে জঙ্গি-হামলায় শিলিগুড়ির বাসের পাঁচ যাত্রীর মৃত্যুর জেরে উত্তরবঙ্গের
ছয় জেলায় নজরদারি আরও বাড়িয়ে দিল পুলিশ। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ থেকে অসমগামী বাসের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অসম সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন। জেলাগুলির নানা জনবহুল এলাকায় প্রচুর সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন। কারণ, অসমের ঘটনায় যুক্ত বড়ো জঙ্গি সংগঠন এনডিএফবি-র একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও)-এর একাংশের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের অনেকের সন্দেহ।
রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ) জাভেদ শামিম বলেছেন, “যে কোনও রকম নাশকতা রোখার জন্য সব রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় সতর্কতা জারি হয়েছে। বাসিন্দাদেরও সাহায্য চাওয়া হয়েছে।” এ দিনই কোচবিহারের কোতয়ালি থানার খাগড়াবাড়ি এলাকা থেকে কেএলও-লিঙ্কম্যান সন্দেহে এক গাড়ি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বাবলু বর্মন ওরফে বাবুর বাড়ি ওখানেই।
দিন কয়েক আগেই জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণ এবং তার ঠিক পরেই মালদহে যাত্রীবোঝাই বাসের উপরে গুলি চালনার ঘটনায় কেএলও-র নাম জড়িয়েছে। কোকরাঝাড়ে বাসে জঙ্গি-হামলাও ঘটেছে কেএলও-রই ডাকা ২৪ ঘণ্টার বন্ধের রাতে। তবে শুক্রবারের মতো শনিবারেও অসমে বাসযাত্রীদের হত্যার দায় স্বীকার করা এনডিএফবি জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে কেএলও। এ দিন কেএলও-র সাধারণ সম্পাদক কৈলাস কোচ এক বিবৃতি দিয়ে দাবি করেন, সাধারণ মানুষ, নিরীহদের মারার রাস্তায় কেএলও হাঁটে না। পরে ফোনেও তাঁর দাবি, “এ সব পুলিশ-প্রশাসন রটাচ্ছে। আমরা নিরীহদের খুনের রাস্তায় হাঁটি না। তবে পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে সব করব।”
কেএলও-এর সহকারী সম্পাদক প্রাণনারায়ণ কোচও কেন্দ্র এবং রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি বলে চাউর হয়েছে। তা হলে আলোচনায় বসতে অসুবিধে কোথায়? জবাবে কৈলাস বলেন, “আমাদের সহকারী সম্পাদক আলোচনার কথা বলেননি। একমাত্র আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও ব্যক্তিত্ব কিংবা সংগঠন মধ্যস্থতা করলে আলোচনা-প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। আমরা কামতাপুর রাষ্ট্র চাই।” বস্তুত, অসম পুলিশের নবনিযুক্ত ডিজি খগেন শর্মাও দাবি করেছেন পরেশ বড়ুয়াপন্থী আলফা জঙ্গিরা, এনডিএফবি (সংবিজিৎ)-র সঙ্গে অসমে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কাছে এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ কেএলও-কে রোখা। তবে এই পরিস্থিতিতে অসমে অন্তত ১৬টি জঙ্গি সংগঠন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বলে কিছুটা আশাবাদী তিনি। |
|
|
|
|
|