গঙ্গাতীর সৌন্দর্যায়নে তৈরি ভাসমান চাতাল
ঙ্গার পূর্ব দিকে ভাসমান চাতাল। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫০০ মিটার। দিনের বেলায় সেখান থেকে যে কেউ উপভোগ করতে পারবেন গঙ্গার সৌন্দর্য। আর রাতের বাড়তি আকর্ষণ মনোরম আলোকসজ্জা। হাওড়া সেতু সংলগ্ন আর্মেনিয়ান ঘাট থেকে দক্ষিণ মুখে ফেয়ারলি ঘাট পর্যন্ত গঙ্গাপাড় সেজে উঠছে শহরের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র হিসেবে। রাজ্যের ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কলকাতা শহরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে চান তিনি। তারই অঙ্গ হিসেবে গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়নের কাজে অগ্রাধিকার দিতে বলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। মাত্র আড়াই বছরের মধ্যেই সেই কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে।
পুরমন্ত্রী জানান, প্রিন্সেপ ঘাট থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত টানা সাড়ে চার কিলোমিটার গঙ্গাপাড় সৌন্দর্যায়নের বেশির ভাগ কাজ আগেই শেষ করা হয়েছে। বাকি ছিল আর্মেনিয়ান ঘাট সংলগ্ন এলাকা। সেখানে গঙ্গাবক্ষে ৫০ ফুট চওড়া ভাসমান চাতাল তৈরি। নগরোন্নয়ন দফতরের আর্থিক সাহায্যে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। প্রকল্পের নকশা বানিয়েছে ‘রাইটস’ সংস্থা। তদারকির ভার পড়েছে কলকাতা পুরসভার উপরে। আর কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক ক্যালেন্ডারে আর্মেনিয়ান ঘাটের সৌন্দর্যায়নের কাজটিকে তালিকার প্রথমেই রাখা হয়েছে। এ মাসের শেষ দিকেই ওই প্রকল্পের শুভ সূচনা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
সুসজ্জিত গঙ্গাপাড়ে আকর্ষণের নতুন কেন্দ্র। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
সেই লক্ষ্যেই সেখানে জোরকদমে কাজ চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আলো দফতর। মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, গ্রানাইটের তৈরি ওই ভাসমান চাতালের উপরে ১৭টি কাঠামো রয়েছে। নানা ধরনের গাছ ঘিরে থাকবে ওই কাঠামোগুলি। থাকছে বসার জায়গাও। রাতে ওই বসার বেদির নীচে জ্বলবে নীল রঙের এলইডি আলো। আর চাতালের রেলিং বরাবর বসানো হয়েছে ৪৮টি ত্রিফলা বাতি। ভাসমান চাতাল ছাড়াও মানুষের যাতায়াতের জন্য আলাদা একটি রাস্তাও তৈরি হয়েছে সেখানে। ওই রাস্তার উপরে ফেলা হয়েছে বাহারি আলো।
জায়গাটি কেএমডিএ-র। পুরসভা কেবল গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়নের কাজ করছে। ওই রাস্তার ধারে ইতিমধ্যেই গাছ বসিয়ে শ্রীবৃদ্ধি করেছে নগরোন্নয়ন দফতর। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, প্রিন্সেপ ঘাট থেকে আর্মেনিয়ান পর্যন্ত গঙ্গাপাড়ের মধ্যে বাবুঘাটের কাছে কিছু এলাকা প্রতিরক্ষা দফতরের অধীনে। প্রথম দিকে প্রতিরক্ষা দফতরের অনুমতি না পাওয়াই ওই অংশের কাজ অসম্পূর্ণ ছিল। সম্প্রতি তার অনুমতি মিলেছে। প্রায় ২০০ মিটার অংশে কাজ এ বার শুরু হবে। তা শেষ হলেই আর্মেনিয়ান থেকে প্রিন্সেপ ঘাট পর্যন্ত পুরো পথ যে কেউ গঙ্গাপাড় ধরেই চলে যেতে পারবেন।
গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণের জন্য সরকার কি প্রবেশমূল্য নেবে?
পুরমন্ত্রী জানান, সে রকম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মানুষের মনোরঞ্জনের জন্যই গঙ্গাপাড়কে আকর্ষণীয় করে তুলতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শহর কলকাতার মাথায় আরও একটি পালক দিতে পেরে খুশি সরকার। যা অনেক আগেই করা যেত।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.