সকাল ৮ টা ২৫ মিনিট টেলিভিশনের স্ক্রিনে মহানায়িকার মৃত্যু সংবাদ ভেসে উঠতেই মন খারাপ হয়ে যায় ওঁদের। রং, তুলি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। সাগরদিঘির পাড়ে বসে সারা দিন ধরে মহানায়িকার মুখাবয়ব আঁকলেন ওঁরা তিন জন। কোচবিহারের তিন চিত্র শিল্পী শ্রীহরি দত্ত, রাজেশ বর্মন, পিয়াস গোস্বামী। পথচলতি মানুষ সেখানে থমকে দাড়ালেন। কিছুক্ষণ সুচিত্রা সেনের সিনেমা নিয়ে স্মৃতি হাতড়ালেন। ‘সপ্তপদী’, ‘হারানো সুর’, ‘পথে হল দেরি’, ‘সাগরিকা’-কে কতবার দেখেছেন, তা নিয়ে চলল আলোচনা। |
বিষাদের ছোঁয়া কোচবিহারেও। শ্রীহরি বলেন, “খবরটা শুনে, তখন বাড়িতে থাকতি পারিনি। দুই সহ শিল্পীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। সাগরদিঘির পাড়ে বসে ছবি আঁকতে ইচ্ছে করছিল। মহানায়িকার মুখাবয়ব এঁকেছি।”
এবিএন শীল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র রাজেশ সদ্য স্নাতক হয়েছে। পিয়াস ছবি আঁকা নিয়েই সারা দিন ব্যস্ত থাকে। তারা তার ফাঁকে বাড়িতে বসে টেলিভিশনে দেখে ফেলেছে। সুচিত্রা-উত্তমের একের পর এক ছবি রাজেশ বলে, “ছবি এঁকে বিষন্নতা কাটানোর চেষ্টা করছি।” পিয়াসও বিষাদগ্রস্ত। আরেক শিল্পী রসিদ খান বলেন, “কতটা মন খারাপ তা বলে বোঝাতে পারব না।” কোচবিহারে চলা রাজ্য ভাওয়াইয়া প্রতিযোগিতাতেও সুচিত্রা সেনকে স্মরণ করা হয়। |