|
|
|
|
সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুধ বিক্রি করলে বাড়তি দু’টাকার আশ্বাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • পূর্বস্থলী |
সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুধ বিক্রি করা গোপালকদের প্রতি লিটার দুধে দু’টাকা করে দাম বাড়ানোর কথা জানালেন রাজ্যের মিল্ক ফেডারেশনের চেয়ারম্যান পরেশ দত্ত। এই টাকা দেওয়া হবে গরু ও মোষ পালনের অতিরিক্ত খরচ হিসেবে। শুক্রবার দুপুরে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের কৃষি, হস্তশিল্প ও আদিবাসী মেলার একটি আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আজ থেকেই এই বাড়তি দু’টাকা করে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” আগে, একজন গো-পালক সমবায় সমিতিকে দুধ বিক্রি করে লিটার পিছু ১৯ টাকা পেতেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি ভাবে দুধের দাম বাড়ানোর জন্য গোপালকদের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। কয়েক বছর ধরে রাজ্যের গ্রামে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা গোপালকদের থেকে দুধ কিনতে শুরু করে। সরকার গোপালকদের দুধের লিটার পিছু যে দাম দিত, তার থেকে লিটার পিছু ৩-৪ টাকা বেশি দেয় ওই বেসরকারি সংস্থাগুলি।
এর পরে প্রশাসন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, কিছু বেসরকারি সংস্থা ছানার জল ব্যবহার করে ভেজাল দুধ তৈরি করছে। এ দিনের আলোচনা সভায় পরেশবাবু জানান, এ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ভেজাল দুধের বিক্রি বাড়ছে। একটি জেলায় পুলিশ কর্তাদের নিয়ে অভিযান চালানোর পরে ভেজাল দুধ-সহ কয়েক জন ধরাও পড়ে। তিনি আরও বলেন, “জেলায় দুগ্ধ সমবায় সমিতির সঙ্গে বৈঠকেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভেজাল দুধের বিষয়টি দফতরের মন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। গো-পালকদের বলে দেওয়া হয়েছে এ বার থেকে খাঁটি দুধ দিতে হবে ও দুধের জোগান বাড়াতে হবে।” ভেজাল দুধচক্রের সন্ধান পেলে ফেডারেশনকে জানাতে বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের দুগ্ধ কমিশনার দিবাকর মুখোপাধ্যায় ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। স্বপনবাবু জানান, এখন থেকে গরু না দেখিয়ে গো-খাদ্য নেওয়া যাবে না। আলোচনা সভায় জানানো হয়, সরকারি ভাবে দুধের দাম বাড়ানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘নোট’ পাঠানো হয়েছে। এ দিন অনেককে বিনামূল্যে হাঁস, মুরগি ও মাছচাষের সামগ্রী দেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|