টুকরো খবর
বার্ষিক অনুষ্ঠান
—নিজস্ব চিত্র।
সম্প্রতি নদিয়ার চাকদহ শহরের ‘সম্প্রীতি’ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল ‘দি আর্টিস্ট মিউজিক সেন্টার’-এর ২৮ তম বার্ষিক অনুষ্ঠান। অধ্যক্ষ শঙ্কর রক্ষিতের পরিচালনায় ও প্রধান শিক্ষিকা অঙ্গনা জোয়ারদারের পরিকল্পনায় ‘শ্রীকৃষ্ণ বন্দনা’ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রায় ১০০ জন ছাত্রী মঞ্চে সমবেত কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন। বিভিন্ন প্রদেশের লোকনৃত্য এবং আঞ্চলিক নৃত্য পরিবেশন করেন অন্যান্য ছাত্রীরা।

ছাত্রীকে মার, অভিযুক্ত গ্রন্থাগারিক
অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলের গ্রন্থাগারিকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বড়ঞা নিত্যগোপাল শিবানীবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিযুক্ত শিক্ষক নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা। সাকিনা খাতুন নামের জখম ওই ছাত্রীর মাথার স্ক্যান করার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেন বলেন, “এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে ওই শিক্ষককে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ” স্কুল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার স্কুলের গ্রন্থাগার থেকে বই দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো পড়ুয়ারা গ্রন্থাগারের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রথমে ওই গ্রন্থাগারিক সংবাদপত্র পড়ায় ব্যস্ত ছিলেন। তারপর তিনি বই দিতে শুরু করেন। কিন্তু লাইন ক্রমশ বেড়ে চলায় ওই গ্রন্থাগারিক জানিয়ে দেন, সেদিন আর বই দেওয়া সম্ভব নয়। তখন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বাকি পড়ুয়ারা বলে, ‘এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বই দেবেন না কেন?’ তখন উত্তেজিত হয়ে লাঠি নিয়ে পড়ুয়াদের দিকে তেড়ে যান ওই গ্রন্থাগারিক। সেই সময় পড়ে যায় সাকিনা। অভিযোগ, তখন তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারেন নৃপেন্দ্রনাথবাবু। এরপর সাকিনা কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। কিন্তু তারপরই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ওই ছাত্রী। ছাত্রীটির বাবা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বড়ঞা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী বিশ্বজিৎ বলেন, “বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কাজ ফেলে মিটিং-মিছিল
ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী বার বার সরকারি অফিসে কর্ম সংস্কৃতি ফেরানোর কথা বলেন। কিন্তু কাজকর্ম শিকেয় তুলে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনকে ভাল কাজের জন্য ধন্যবাদ দিতে অর্ধদিবস ছুটি নিয়ে তৃণমূল প্রভাবিত ‘ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’-এর একাংশ সদস্য শুক্রবার দুপুর বারোটা নাগাদ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে মিছিল করলেন। পরে তাঁরা মিলিত হয়ে সভা করলেন জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে। তবে সংগঠনেরই নেতা জ্যোতির্ময় রায় এই মিটিং-মিছিলের বিরোধীতা করে বলেন, “আমাদের নেত্রী সরকারি অফিসে কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর কথা বলছেন। কাজ ফেলে এ দিনের মিটিং মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করার সামিল।” অবশ্য এ দিনের কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক অতনু রায় বলেন, “আমরা ছুটি নিয়ে এই কর্মসূচি করছি। ভাল কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমেছেন।” দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের হয়রানির প্রসঙ্গে অতনুবাবু বলেন, “আমরা অর্ধদিবস ছুটি নিয়েছি। এতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।” অবশ্য বাস্তব অন্য কথা বলছে। ভোটার কার্ডে নামের বানান ঠিক করতে এসে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকেও কারও দেখা না পেয়ে কালীগঞ্জের এক বাসিন্দা বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে বলে গেলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন, কর্মচারীরা তো দেখছি তার উল্টো কাজ করছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.