মঙ্গলবার ভোরে ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দির লাগোয়া বড়বাড়ি এলাকায় গরু চোর সন্দেহে প্রথমে নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর পরে পুলিশের জিপে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে ধৃত পাঁচ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালত। এ দিন ধৃতদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে তোলা হয়। এ দিকে বুধবার ময়নাগুড়ির থানার পুলিশ বন্দুক নিয়ে ভয় দেখিয়ে গোলমাল পাকানোর অভিযোগে চারজন নিরাপত্তা কর্মীকে গ্রেফতার করে পৃথকভাবে মামলা রুজু করে।
মঙ্গলবারের ঘটনায় ৭ পুলিশ কর্মী জখম হন। তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সকালে বড়বাড়ি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ রবি ভুইমালি, রঞ্জন রায়, উত্তম রায়প্রধান এবং বিধান রায়প্রধান নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। রাতে জয়নাল আবেদিন নামে আরও একজন গ্রামবাসীকে হামলায় জড়িত সন্দেহে ধরা হয়। ময়নাগুড়ি থানার আইসি অভিজিৎ সরকার বলেন, “নিরাপত্তা এজেন্সির কর্মীরা তাঁদের বন্দুক নিয়ে ভয় দেখানোর ফলে উত্তেজনা বাড়ে। পুলিশও হামলার মুখে পড়ে। ওই কারণে চার জনকে ধরা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীরা হলেন প্রদীপকুমার রায়, প্রদীপচন্দ্র রায়, সুকুমার রায় এবং সুখমোহন রায় পাওয়ার গ্রিডের টাওয়ারের বিদ্যুতের তার পাহারা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত। ওই চার জনকে গরুচোর সন্দেহে গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁদের ধরে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ খবর পেয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের জিপেও ভাঙচুর চলে। জখম হন ৭ জন পুলিশ কর্মী। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই নিরাপত্তা কর্মীরা উত্তেজিত জনতাকে না থামিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। |