কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে জেলা যুব তৃণমূল নেতৃত্বের আনা কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল প্রশাসন। বুধবার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শুভজিৎ মণ্ডলের নেতৃত্বে চারজনের একটি দল পুরসভায় যান। তাঁরা প্রায় তিন ঘণ্টা পুর ভবনের হলঘরে বসে বিভিন্ন প্রকল্পের নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। তদন্তকারী দলের কেউ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুরসভা সূত্রের খবর। কিছু নথিপত্র খতিয়ে দেখার জন্য এ দিন দলটি নিয়ে গিয়েছেন। আরও কিছু নথি তাঁরা চেয়েছেন। চলতি মাসের শেষে দলটি ফের পুরসভায় আসবে। জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সীমা হালদার বলেন, “কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভার কাজের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাজ শেষ না হওয়া অবধি কিছু বলা সম্ভব নয়।”
গত ৩ জানুয়ারি বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ৭ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল করে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেয় যুব তৃণমূল। সংগঠনের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় তথ্য জানার অধিকার আইনে পুরকর্তাদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পে খরচের হিসাব জানতে চেয়ে চিঠিও দেন।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যুব তৃণমূলের ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন পুরসভার বিভিন্ন প্রকল্পে খরচের হিসেব খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “প্রশাসনের তরফে মিডডে মিল, প্রবীণ নাগরিকদের ভাতা সহ ৯টি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে আমরা সবরকম সহযোগিতা করছি। যে নথিপত্র চাওয়া হয়েছে সব দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও চাইলে দেওয়া হবে। এতে কোনও দুর্নীতির বিষয় নেই।”
আর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কংগ্রেসের পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রশাসনের কর্তারা কাগজপত্র দেখে নিজেরাই বুঝতে পারবেন কী ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। পুরোটাই যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা জলপাইগুড়ির মানুষ বুঝতে পারবেন।” যুব তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, মিডডে মিল, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য উদ্যান তৈরি, ভাতা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ না করে খরচ দেখানো হয়েছে। তথ্য জানার অধিকারে চিঠি দিয়েও উত্তর মেলেনি। সংগঠনের জেলা সভাপতি সৈকতবাবু বলেন, “আমাদের দাবি মেনে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুরসভার কর্তারা অনেক নথি সরিয়ে ফেলতে পারেন। তাই সমস্ত নথি আটক করে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।” |