প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল প্রাক্তন স্বামীকে।
রবিবার রাতে বসিরহাটের প্রেমনগরের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ইয়াকুব মোল্লাকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি পানিতরে। পুলিশ জানায়, বছর দশেক আগে ইয়াকুবের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল স্বরূপনগরের কচুয়াগ্রামের ওই তরুণীর। তাঁদের দুই মেয়ে। তরুণীর দাবি, পর পর দু’টি কন্যাসন্তান হওয়ায় বিয়ের বছর তিনেকের মধ্যেই তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বামী। খোরপোষ চেয়ে বসিরহাট আদালতে মামলা করেন তিনি।
মাস দু’য়েক আগে তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে। খোরপোষ বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন ইয়াকুব। তরুণীর দাবি, মাস খানেক ধরে তাঁর সঙ্গে নতুন করে সংসার পাততে চেয়ে পীড়াপিড়ি শুরু করেছিলেন ওই যুবক। এমনকী, দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছেড়ে তাঁকে ফের ঘরে তুলবেন বলেন। |
ধৃত ইয়াকুব মোল্লা। ছবি: নির্মল বসু। |
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ওই তরুণী জানান, রবিবার সকালে ফোন করে আলোচনা করতে চেয়ে ধান্যকুড়িয়ার প্রেমনগরে তাঁকে ডেকে পাঠান ইয়াকুব। ইছামতীর পাশেই ওই এলাকায় বেলা ৪টে নাগাদ ইয়াকুব আসেন। তরুণীর দাবি, তাঁকে প্রায় জোর করেই একটি মোয়া খাইয়ে দেন ইয়াকুব। তাঁর মাথা ঝিমঝিম করতে শুরু করে। এক সময়ে অচেতন হয়ে পড়েন। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ জ্ঞান ফিরলে দেখেন, গায়ে কোনও জামাকাপড় নেই। সোমবার বিকেলে থানায় প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছিলেন ইয়াকুব। সীমান্ত এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইয়াকুবের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে ফের সংসার পাততে চেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু রবিবার তাঁর সঙ্গে তরুণীর দেখাই হয়নি। ইয়াকুবের দ্বিতীয় স্ত্রীও সেই দাবিই করেছেন। |