পিঁফার প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত মুজিবর সর্দারকে মঙ্গলবার গভীর রাতে কঠুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ১১ জানুয়ারি রাতে ওই কিশোরীকে মুজিবর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বুধবার বসিরহাট এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ধৃতের দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। নির্যাতিতা ওই কিশোরীর গোপন জবানবন্দিও নিয়েছেন বিচারক। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। ওই নির্যাতিতার বাড়িতে পুলিশ পিকেট বসেছে।
এ দিন কিশোরীর বাড়িতে যান স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা কিশোরীর পরিবারকে বিনা খরচে যাবতীয় আইনি সাহায্য দেওয়ার পাশপাশি তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও এ দিন নির্যাতিতার বাবা ও থানার আইসির সঙ্গে কথা বলে কিশোরীর চিকিৎসার খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ দিন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যদের ও তৃণমূলের লোকজনদের সামনে প্রতিবেশীরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তৃণমূল নেতারাও অভিযুক্তের শাস্তি চেয়েছেন। |
পুলিশ হেফাজতে মুজিবর সর্দার।—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ জানিয়েছে, কঠুর গ্রামে বাড়ি হলেও দেভোগ গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকত মুজিবর। রাজমিস্ত্রীর জোগাড়ের কাজ করত। ১১ জানুয়ারি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেই ওই কিশোরীর বাড়ি গিয়েছিল সে। তখন কিশোরীর মা বাড়িতে ছিলেন না। বাবাও এলাকার বাইরে ছিলেন। পাশের ঘরে বৃদ্ধা ঠাকুমা ছিলেন। অভিযোগ, ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে কিশোরীকে ধর্ষণ করে মুজিবর। ভিতরে গোঙানির শব্দ পেয়ে ঠাকুমার সন্দেহ হওয়ায় তিনি দরজা ধাক্কা দেন। তাঁকে দেখে মুজিবর পালিয়ে যায়। ঠাকুমার বক্তব্য, এর পরে বাসিন্দারা মুজিবরকে ধাওয়া করে। বিপদ বুঝে শ্বশুরবাড়িতে পালায় সে। তারপর থেকেই থানায় অভিযোগ না করার জন্য তাঁদের হুমকি দিচ্ছিল মুজিবর। এ নিয়ে সালিশিও বসে। কিন্তু সেখানে অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়নি। যদিও মুজিবরের স্ত্রীর দাবি, চক্রান্ত করে তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে।
|