|
|
|
|
বিক্ষুব্ধদের বিশ্রাম নিতে বললেন সুব্রত
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুরে এসে ফের দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ কর্মীদের সতর্ক করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সী। প্রয়োজনে বিশ্রাম নেওয়ারও পরামর্শ দিলেন তিনি। সুব্রতবাবুর কথায়, “বাংলা জুড়ে লড়াই চলছে। এ লড়াই ত্যাগের লড়াই। যাঁরা ভাবছেন, আমার কী হল। আমি কিছু পেলাম না-কেন। তাঁদের বলছি, বিশ্রাম নিন। যাঁরা লড়াই করতে চান, তাঁদের লড়াই করতে দিন। আমি শুধু বলি, আনুগত্য দেখিয়ে বাঁচতে চাইলে নিশ্চিত ভাবে বাঁচবেন। না-হলে নয়।”
আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃণমূলের বিগ্রেড সমাবেশ রয়েছে। সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’টি এলাকায় কর্মিসভা করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। শুরুতে কেশপুরে। পরে মেদিনীপুর শহরে। সুব্রতবাবু বলেন, “দেশের ১১৫ কোটি মানুষ বিগ্রেডকে চাক্ষুষ করতে চাইছেন। ৩০ জানুয়ারি বিগ্রেড সমাবেশ রয়েছে। ওই সমাবেশের পর অন্য কোনও রাজনৈতিক দল বিগ্রেড সমাবেশ করার ঝুঁকি নেবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রথ দিল্লি পৌঁছবে। লোকসভা নির্বাচনে আমাদের একঝাঁক সাংসদকে দিল্লি পৌঁছে দিতে হবে।”
দু’টি সভাতেই সুব্রতবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝেছিলেন, বাংলার মাটিতে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে কংগ্রেসের পতাকার তলায় থেকে হবে না। তাই তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিবারের অভিভাবক বলে চিহ্ণিত করেন। তাই দিদি বলেন। ভারতবর্ষের রাজনীতিতে এমনটা পাবেন না।” তাঁর দাবি, “এখন রাজ্যে প্রবল গতিতে সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলা আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সুরক্ষিত-নিরাপদ।” অন্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মৃগেন মাইতি, দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ প্রমুখ। |
|
|
|
|
|