এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য পঞ্চায়েতে আসা বন্ধ করলেন অন্য সদস্যেরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কাজকর্ম শিকেয় উঠল খানাকুল ২ ব্লকের জগৎপুর পঞ্চায়েতে। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়াতেই এই কর্মবিরতি বলে দাবি পঞ্চায়েত সদস্যদের। সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে কথা খানাকুলের বিধায়ক ইকবাল আহমেদ-সহ জেলা ও রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বকেও। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের মহুয়া চৌধুরী।
কোন ঘটনার জেরে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত? পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, পয়লা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি সভা ছিল স্থানীয় নন্দনপুর মোড়ে। ছিলেন জগৎপুর পঞ্চায়েতের সদস্য তথা এলাকার নেতা বিজয় মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, সভা চলাকালীন আচমকা তাঁদেরই দলের রাজহাটি ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নূর নবি মণ্ডল বিনা প্ররোচনায় লোকজন নিয়ে এসে তাঁকে মারধর করেন। সেই ঘটনার কথা জানতে পেরেই সম্মিলিত ভাবে পঞ্চায়েত থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন অন্য পঞ্চায়েত সদস্যেরা। অভিযোগ অস্বীকার করে নূর বলেন, “একটি মোটর বাইক দুর্ঘটনা নিয়ে অশান্তি হয়েছিল নন্দনপুরে। সেই ঝামেলা মেটাতে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।”
|