স্ত্রী-ছেলের হাতে প্রহৃত তৃণমূল নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
আধোঘুমন্ত অবস্থায় আঠারো বছরের পুরনো স্ত্রীর হাতে বেধড়ক ঠ্যাঙানি খেয়েছেন গোঘাটের গোলপুর গ্রামের এক তৃণমূল নেতা। কিশোর পুত্রও তাতে হাত লাগায়। আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসা হয় তাঁর। গত ৯ জানুয়ারি ওই ঘটনা নেতার স্ত্রী নিজেই জানান থানায়। স্বামীর চরিত্র ‘শোধরানোর’ জন্য পুলিশের কাছে সাহায্যও চেয়েছেন। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষকে ডেকে আলোচনা হবে। কী দোষ করেছেন বছর ওই নেতা? স্ত্রীর অভিযোগ, বছর তিনেক ধরে বাড়িতেই ফিরছেন না স্বামী। অন্য মহিলার সঙ্গ করছেন। সে সব নিয়ে বিবাহিতা মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে খোঁটা শুনতে হচ্ছে। ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। তার বন্ধুরাও ঠাট্টা-তামাশা করছে। স্বামীকে বুঝিয়েও লাভ হয়নি। উল্টে তিনি নাকি মারধর করেছেন স্ত্রীকে। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন স্ত্রী। ছেলে দেখে ফেলায় দড়ি খুলে তাঁকে বাঁচান। নেতার স্ত্রীর বক্তব্য, স্বামীর প্রেমিকার খোঁজ পেয়ে অনুরোধ করেছিলেন। দলের স্থানীয় নেতাদেরও বলেছিলেন। স্ত্রী বলেন, “যে লোকটা রাজনীতি করতে গিয়ে নারী জাগরণের কথা বলে, তার নিজের সংসারই তো বিধ্বস্ত।” অন্য দিকে, ভাঙলেও মচকাচ্ছেন না ওই নেতা। বলেন, “নিজে খারাপ বলেই স্ত্রী আমাকে মিথ্যা সন্দেহ করে। আমাকে খুন করতে চাইছে।”
|
মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্মেলন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগনান |
সম্প্রতি ছ’দিন ব্যাপী বাঙালপুর মহিলা বিকাশ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির উদ্যোগে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্মেলন হয়ে গেল বাগনানে। বাগনান-১ ব্লকে সিংহবাহিনীতলা প্রাঙ্গণে সম্মেলনে ১০টি স্টলে ছিল মাটির মডেলের সাহায্যে মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার উপায়ের আকর্ষণীয় প্রদর্শনী। এ ছাড়াও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও জৈব পদ্ধতিতে বাগান তৈরি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার আসর বলে জানান উদ্যোক্তারা। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মহিলার। মঙ্গলবার দুর্ঘটনাটি ঘটে আরামবাগের পারুলে আরামবাগ-তারকেশ্বর রোডে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বন্দনা চট্টোপাধ্যায় (৪৬)। বাড়ি ওই এলাকাতেই।
|
মারধরের নালিশ কলেজে
নিজস্ব সংবাদদাতা • চণ্ডীতলা |
মশাটের বিদ্যাসাগর কলেজে মারধর করে মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ক্ষিপ্ত এসএফআইয়ের সমর্থকেরা ঘটনার প্রতিবাদে অহল্যা বাই রোড বুধবার অবরোধ শুরু করেন। সোম ও বুধবার ছিল কলেজে মনোনয়নপত্র তোলার দিন। এ দিন সকালে এসএফআইয়ের জনা ৩০ সমর্থক মনোনয়নপত্র তুলতে যান। অভিযোগ, তাঁদের মারধর করা হয়। তিন এসএফআই সমর্থক আহত হন। এরপরেই সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অহল্যাবাঈ রোড অবরোধ করা হয়। এসএফআই নেতা কল্লোল ধারা বলেন, “বহিরাগতদের এনে আমাদের ছাত্রদের মারধর করা হয়।” তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। টিএমসিপি নেতা দিবেন্দু পাল বলেন, “আমাদের ওখানে জোর খাটানোর কারণ নেই। আমাদের সংগঠন রীতিমতো মজবুত। এসএফআই মনোনয়ন জমা করতে আসেনি ওখানে। ঝামেলা বাধাতেই এসেছিল ওদের লোকজন।” |