রাইট টু এডুকেশন প্রোটেকশন অথরিটি (রেপা)-র শুনানিতে খুশি নন দমদম ক্রাইস্ট চার্চ স্কুলের মৃত ছাত্রী ঐন্দ্রিলা দাসের বাবা শান্তনু দাস। গত ডিসেম্বর মাসে শান্তনুবাবু তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে রেপা-য় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার কসবায় রেপা-র অফিসে এই শুনানি হয়।
এ দিন শুনানির পরে ঐন্দ্রিলার বাবা শান্তনু দাস জানান, রেপা-র শুনানিতে সন্তুষ্ট নন তাঁরা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর প্রসঙ্গে স্কুলের আইনজীবী শুনানিতে জানান, ঐন্দ্রিলার মৃত্যু নিয়ে তার পরিজনেরা ‘নাটক’ করেছেন। আর এই বক্তব্যই তাঁদের হতবাক করেছে বলে জানান শান্তনুবাবু। তিনি বলেন, “একটি দশ বছরের মেয়ে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে কী করে মিথ্যে বলবে, সে কথাও আমি রেপা-র শুনানিতে বলেছি।”
এ দিন হাজির ছিলেন ঐন্দ্রিলার বাবা, মা ও পরিবারের অন্য সদস্যেরা। অন্য দিকে ছিলেন স্কুলের অধ্যক্ষা হেলেন সরকার, অন্যান্য শিক্ষিকা-সহ স্কুলের আইনজীবী। শুনানির পরে রেপা-র চেয়ারপার্সন সাধনকুমার গুপ্ত বলেন, “দু’পক্ষের বক্তব্যই শুনেছি। আগামী বুধবার রায় জানাব।”
গত সেপ্টেম্বরে দমদম ক্রাইস্ট চার্চ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ঐন্দ্রিলা দাসের মৃত্যুর পরে অভিভাবক-সহ এক দল উত্তেজিত জনতা স্কুলে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর জন্য স্কুলের অধ্যক্ষা দায়ী, এই দাবি তুলে সে দিন জনতা পুলিশকে স্কুলের অধ্যক্ষা হেলেন সরকারকে গ্রেফতার করতে বাধ্য করে। ঘটনার পরের দিনই স্কুলের পরিচালন সমিতি এবং চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়ার (সিএনআই) কলকাতা ডায়োসেস-এর পক্ষ থেকে স্কুল পরিদর্শন করা হয়। তৈরি হয় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিও। পরে আদালতে মামলা উঠলে হেলেন জামিন পান এবং স্কুলে অধ্যক্ষা হিসেবেই ফের যোগ দেন।
|