সাইকেল রাখলে দিতে হবে ২০ টাকা। মোটরবাইক রাখলে দিতে হবে ৫০ টাকা। সঙ্গে হেলমেট থাকলে অতিরিক্ত আরও ২০ টাকা দিতে হবে। আর ছোট চার চাকার গাড়ি, বড় বাসের ক্ষেত্রে ইচ্ছে মতন টাকা আদায় করা হচ্ছে। ওই গাড়ি পার্কিং-এর ক্ষেত্রে ১০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। সেটাও রাত ১২টা থেকে পরদিন রাত ১২টা অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার জন্য। সময় পেরিয়ে গেলেই গুনতে হবে দ্বিগুন টাকা।
গাড়ি নিয়ে জয়দেব-কেঁদুলি মেলায় ঢোকার সময় জোর করে টোল আদায়ের এই অন্যায় দাপটে জেরবার মেলায় আগত মনুষজন ও গাড়ির চালকেরা। অভিযোগ, সরকারের তরফ থেকে বেঁধে দেওয়া ‘রেট চার্ট’ অনুযায়ী টোল আদায় করা হচ্ছে না। খুশিমতো টাকা আদায় করছে এই কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদরের লোকজন। জয়দেব মেলায় ঢোকার দু’টি রাস্তা আগলে (একটি ইলামবাজার থেকে জনুবাজার হয়ে এবং অন্যটি দুবরাজপুরের দিক থেকে জয়দেব মোড় হয়ে) টোল আদায়ে জুলুমবাজির অভিযোগ গত মেলায়ও ছিল। এবারও রয়েছে। |
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার টোলের দায়িত্ব নেওয়া ঠিকাদার ওই কাজের বরাত পেয়েছেন প্রায় ৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায়। সেই টাকার অঙ্ক ছাপিয়ে লাভ করতে একমাত্র পায়ে হেঁটে ছাড়া যে যেভাবেই মেলায় আসুন তাঁকেই টোল আদায়ের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ছোট চার চাকা গাড়ি নিয়ে মেলায় আসা রামপুরহাটের ছোটন মাজি, সিউড়ির নিজাম হোসেন কিংবা বড় ট্যুরিস্ট বাস নিয়ে নবদ্বীপ থেকে আসা প্রভাত মণ্ডলরা বলছেন, “কোনও গাড়িতে ১০০ টাকা নেওয়া তো দূরের কথা। গাড়িতেই আদায় করা হচ্ছে ৩০০ টাকা। ট্যুরিস্ট বাসের জন্য আদায় হচ্ছে কমপক্ষে ১০০০ টাকা। কোনও কোনও বাস চালকের কাছ থেকে ১৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত জোর করে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে মিলছে দুর্ব্যবহার। অথচ প্রশাসনের সেদিকে কোনও নজর নেই।” বিষয়টিতে প্রশাসনের নজর নেই, সে কথা মানতে রাজি নন জয়দেব মেলা কমিটির সম্পাদক তথা বোলপুরের মহকুমাশাসক মলয় হালদার। তিনি বলেন, “জোর করে বা ইচ্ছেমতো বিভিন্ন গাড়ি থেকে টোল আদায় হচ্ছে, এমন অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্র পুলিশকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এবং একজন ঠিকাদারের কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।” |