এ বার বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন এক জ্যোতিষী। অভিযোগ, দীপকুমার শাস্ত্রী নামে ওই জ্যোতিষী পারিবারিক সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার নামে কলকাতার তিলজলা থানা এলাকার এক বধূর শ্লীলতাহানি করেছেন।
ঘটনাস্থল তারাপীঠ। জেরায় ধৃত তাঁর অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে পুলিশের দাবি। ধৃত জ্যোতিষীর বাড়ি মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানার দোপুকুরিয়া গ্রামে। কলকাতাতেও তাঁর অফিস রয়েছে। তাঁর আসল নাম দীপকুমার
|
অভিযুক্ত জ্যোতিষী। |
মণ্ডল। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অনেকের কাছে নিজেকে সন্দীপ মণ্ডল হিসাবেও পরিচয় দেন। দোপুকুরিয়া গ্রামে জ্যোতিষচর্চার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ওই এলাকায় নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে শক্তিপুর থানা সূত্রের খবর। সম্প্রতি বহরমপুর শহরে তিন মহিলা খুনের ঘটনায় শক্তিপুরের পাশের থানা রেজিনগরের বাসিন্দা, পেশায় জ্যোতিষী নিত্যানন্দ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিলজলার ওই বধূ বুধবার রামপুরহাট থানায় দীপকুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যান। ফোনে যোগাযোগ করা হলে ওই বধূর ভাই বলেন, “ব্যক্তিগত ব্যপারে আমরা বেশি কথা বলতে চাই না। যা বলার পুলিশকে জানিয়েছি।”
লিখিত অভিযোগে ওই বধূ জানিয়েছেন, পারিবারিক কিছু সমস্যায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। শাশুড়ির পরামর্শে তিনি কলকাতায় দীপকুমারের অফিসে যান। জ্যোতিষী ‘দোষ-ত্রুটি’ দূর করার জন্য এক লক্ষ টাকা জমা দিতে বলেন। ৬ জানুয়ারি ওই টাকা জমা দিলে জ্যোতিষী তাঁকে ১৪ তারিখ তারাপীঠে আসতে বলেন। সেই মতো বধূটি শাশুড়ি এবং অন্য আত্মীয়দের নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তারাপীঠের একটি লজে উঠে দীপকুমারকে ফোন করেন। জ্যোতিষীর কথামতো সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ অন্য একটি লজে একা যান ওই বধূ। সেখানে একই সমস্যা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পটাশপুর থেকে আসা এক বধূর সঙ্গে তিলজলার বধূটির পরিচয় হয়। লিখিত অভিযোগে বধূটি আরও দাবি করেছেন, দীপকুমার একটি গ্লাসে তাঁদের দু’জনকে পানীয় দেন। খেয়ে দু’জনেই বুঝতে পারেন সেটা মদ। এর পরে ভয় দেখিয়ে তাঁদের শ্লীলতাহানি করেন ওই জ্যোতিষী। মেরে ফেলার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, কোনও ভাবে ওখান থেকে বেরিয়ে পরিবারকে সব জানান তাঁরা। পটাশপুরের বধূটি অবশ্য থানায় অভিযোগ করেননি। রামপুরহাটের এসডিপিও কোটেশ্বর রায় বলেন, “মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ তারাপীঠ শ্মশান এলাকা থেকে ওই জ্যোতিষীকে আটক করা হয়েছে।” |