প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলল ব্রাজিলের দক্ষিণপূর্ব শহর ক্যাম্পিনাসে। যার জেরে গুলিতে প্রাণ হারালেন অন্তত ১২ জন। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনায় তছনছ ক্যাম্পিনাস। নষ্ট হয়েছে ১০টি বাস। পুলিশের দাবি, এক পুলিশ অফিসারের খুনের পরে সব গন্ডগোলের সূত্রপাত।
কিন্তু শুধু এই একটা কারণেই হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এমন নয়। পুলিশ নানা সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। প্রতিশোধ নিতে পুলিশের তরফেই এই হত্যালীলা কিনা, তা-ও দেখা হচ্ছে। আবার দুষ্কৃতীদের দু’টি দলের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এমনটা ঘটেছে কিনা সেটাও খোঁজ করছে পুলিশ।
ক্যাম্পিনাসের বাস টার্মিনাসে ২০ জনের একটি দল মাথাঢাকা জ্যাকেট পরে হাতে পিস্তল, লাঠি আর পাথর হাতে হাজির হয়। সেখানেই সংঘর্ষে মারা যান পাঁচ জন। তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও সাতটি বাস।
ঝামেলার পরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই টার্মিনাস। বিভিন্ন রুটে ব্যাহত হয় ট্রাফিক।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি জায়গায় গাড়িতে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। তবে সব ক’টি মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে পারস্পরিক যোগ রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। আহত তিন জনকে হাসপাতালে পাঠানো হলেও সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
কয়েক ঘণ্টা আগেই ওই এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি রুখতে গিয়ে এক পুলিশ অফিসার খুন হন। তাতে কেউ গ্রেফতার হয়নি।
সাও পাওলো থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে ক্যাম্পিনাস। এ বছর জুন মাসে সাও পাওলোয় বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসছে। প্রস্তুতি চলছে তার। তবে ক্যাম্পিনাসে কোনও ম্যাচ নেই। কিন্তু এই শহরের কাছেই সাও পাওলোয় জুন মাসে ভিড় জমাবেন অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী। এ সবের
মধ্যে এই ঘটনায় তাই অস্বস্তিতে প্রশাসন। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। সাও পাওলোর জন নিরাপত্তা সচিব ফার্নান্দো গ্রেলা ভিয়েরা জানিয়েছেন, যারা এই হত্যায় জড়িত, তাদের খুঁজে বের করা হবে।
মৃত ছ’জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত। মাদক পাচার, খুন, চুরির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। |