তৃণমূলের দুই নেতাকে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে সিপিএমের ভাতার জোনাল কমিটির সম্পাদক বামাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সকালে বর্ধমানের কালনা গেটের একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত সিপিএম নেতাকে এ দিন বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক সেলিম আহমেদ আনসারি বামাচরণবাবুকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে ভাতারের কামার পাড়ায় দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি-সহ নানা কারণে সিপিএম একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিল। সেই মিছিল ঘিরেই গোলমাল হয়। বর্ধমানের এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “ওই মিছিলটি একটি স্কুলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূলের কয়েকজন লোক মিছিলকারীদের স্লোগান দিতে বারণ করেন। এরপরেই তৃণমূল পরিচালিত ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ জয়ন্ত হাটি-সহ কয়েকজনকে প্রচন্ড মারধর করা হয়।” তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভাতার থানায় বামাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও কয়েক জন সিপিএম নেতা-সহ বেশ কিছু জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এরপরেই বামাচরণবাবুকে এ দিন সকালে গ্রেফতার করা হয়।
তবে সিপিএমের বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অমল হালদারের অভিযোগ, “আমাদের মিছিলে ৪-৫ হাজার লোক ছিল। কামারপাড়ায় ২০-২৫ জন তৃণমূলের সমর্থক তাদের পথ আটকে স্লোগান দিতে বারণ করে। এর পরে গ্রামবাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে তৃণমূলের কয়েকজনকে মারধর করেন। তবে তারপর বামাচরণবাবুরাই তাদের বাঁচান। আমরা এই ঘটনার পরে ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে আমাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি। অথচ তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে আমাদের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।” এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলা জুড়ে সভা ও মিছিল করা হবে বলে জানান তিনি। অমলবাবুর করা অভিযোগ প্রসঙ্গে এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “সিপিএমের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। যদি তারা এখনও অভিযোগ করেন তাহলে আমরা তার ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।” |