রেলের ‘ফ্রেট করিডর’ তৈরিতে জমি অধিগ্রহণের জন্য বুধবার বৈঠক হল বুদবুদের গলসি ১ ব্লক অফিসে। ছিলেন প্রকল্পের চিফ ম্যানেজার অপূর্ব দাস, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক-সহ গলসি ১-এর বিডিও ব্রততী মিত্র ও গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ‘মানকর ভূমি রক্ষা কমিটি’র দাবি, বৈঠকে তাদের তরফে ৯ দফা দাবি জানানো হয়। কমিটির তরফে শুভব্রত বসু জানান, দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম, ২০০৮ সালের আইন অনুসারে নয়, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক ২০১৩ সালের জমি অধিগ্রহণের আইন অনুসারে। জমিদাতাদের স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থার দাবিও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া শুভব্রতবাবুর দাবি, তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে এই করিডরের নকশা ৫০০ মিটার দক্ষিণে সরানোর আবেদন করেছিলেন। সেক্ষেত্রে এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি, দোকানবাজার ভাঙা পড়ত না। কর্তৃপক্ষ তা শোনেননি বলে দাবি করেন তিনি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনি থেকে লুধিয়ানা পর্যন্ত রেলের ‘ফ্রেট করিডর’ নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বুদবুদের মানকর, রাইপুর, মাড়ো মৌজার উপর দিয়ে এই করিডরটি যাবে। মানকর ভূমিরক্ষা কমিটির তরফে দাবি, গত বছর ২৪, ২৫ ও ২৭ সেপ্টেম্বর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জনশুনানিতে তাদের প্রতিনিধিরা দাবিগুলি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন।
এ দিনের বৈঠকে হাজির থাকা গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দনবাবুর বক্তব্য, “এই করিডর নির্মাণের আগে স্থানীয় মানুষজনের স্বার্থের দিকেও কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।” গলসি ১ বিডিও ব্রততী মিত্র বলেন, “সুষ্ঠু ভাবেই বৈঠক হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন তাঁদের দাবির কথা জানিয়েছেন। সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) উৎপল বিশ্বাস বলেন, “যে সব দাবি উঠেছে সেগুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।” |