বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দেওয়া চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করছেন মধ্যমগ্রামে ধর্ষিত, মৃত কিশোরীর বাবা। সোমবার সন্ধ্যায় নীতীশ তাঁকে বিহার পুলিশে চাকরির প্রস্তাব দেন। একটি আবেদন পত্রও লিখিয়ে নেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব পাওয়ার পর ভাবার জন্য কয়েক দিন সময় চান মেয়েটির বাবা-মা। কিন্তু পটনা থেকে হাওড়া পৌঁছতে পৌঁছতেই, মাত্র ১৮ ঘন্টার মধ্যে স্বামী-স্ত্রী আলোচনা করে ঠিক করেন, বিহার পুলিশের চাকরি নিয়ে খুব শীঘ্রই কলকাতার সঙ্গে তাঁদের ২৬ বছরের সম্পর্কে ইতি টানবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে হাওড়া স্টেশনে নেমে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানিয়ে দিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রস্তাব মতো পুলিশের চাকরি করতে আমি বিহারেই ফিরে যাব।” তবে মেয়ের উপর যারা পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছিল সেই অপরাধীদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আইনি লড়াই জারি থাকবে। মেয়েটির বাবা বলেন, “অপরাধীদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। কিন্তু রুজি-রুটির জন্য আমারা বিহারেই থাকব।”
বিহারের সমস্তিপুরের আদত বাসিন্দা ওই পরিবারটি। তাঁর মেয়ের উপর উপর্যুপরি ধর্ষণের ঘটনা এবং তারপর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মেয়েটির মৃত্যুর ঘটনার পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পরিবারটিকে এক লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেন। এরপর সোমবার পটনায় মুখ্যমন্ত্রী-নিবাসে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে নীতীশকুমার প্রায় আড়াই ঘণ্টা কথা বলেন। সেই সময় মেয়েটির বাবাকে পুলিশের চাকরির প্রস্তাব দেন তিনি। নিরাপত্তার জন্য পরিবার নিয়ে বিহারেই তাঁদের পাকাপাকি ভাবে চলে আসতে বলেন নীতীশ। মঙ্গলবার হাওড়ায় পৌঁছে মেয়েটির বাবা বলেন, “এখানে থাকলে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। কাজ করব কী করে? খাবই বা কী? তাই পরিবার নিয়ে সমস্তিপুরে চলে যাব। তবে অপরাধীদের চরম শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। আমাদের সিদ্ধান্তের কথা আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছি।”
তবে চাকরিক প্রক্রিয়া সবে মাত্র শুরু হয়েছে বলে জানায় ওই পরিবার। তারা জানায়, এখনও চাকরিতে যোগ দেওয়ার দিন দেরি আছে। ততদিন এখানেই থাকবেন তাঁরা।
|