সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে রিং রোড প্রকল্পের কাজ আটকে ছিল প্রায় ৯ মাস। কারণ, পরিবেশ দফতরে অভিযোগ গিয়েছিল জলাশয় ভরাট হচ্ছে। গত বছর মে মাসের পর থেকে ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে পরিবেশ দফতর ছাড়পত্র দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি তালুকের দায়িত্বরত প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন, অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা আগের ব্যয়বরাদ্দ ধরেই কাজ এগোবেন।
২০১২-র সেপ্টেম্বর মাস থেকে যানবাহন সমস্যা মেটাতে পাঁচ নম্বর সেক্টরে প্রায় আড়াই কিলোমিটারব্যাপী রিং রোড প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৩-র মে মাসের পর থেকে এই কাজ স্থগিত রাখেন নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ। ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই আড়াই কিলোমিটার রাস্তা তৈরির প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছিল বলে সংস্থা সূত্রে খবর।
পাঁচ নম্বর সেক্টরে গাড়ির চাপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে বলেই প্রশাসনের দাবি। ফলে যানজটের সমস্যাও বাড়ছে। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, রিং রোড প্রকল্প হয়ে গেলে যানবাহন সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। পাঁচ নম্বর সেক্টরে এসডিএফ বিল্ডিং এর পিছনের রাস্তা থেকে মুন্সির ভেড়ি পার হয়ে রাজারহাট বক্সব্রিজের আগে গিয়ে বড় রাস্তায় মিশে যাবে এই রিং রোড।
কিন্তু পরিবেশ দফতরের পূর্ব কলকাতা জলাভূমি কর্তৃপক্ষর কাছে এই প্রকল্প সম্পর্কে অভিযোগ জমা পড়ে গত বছরের শুরুতে। অভিযোগ ছিল, রাস্তা তৈরির সময় ওই মুন্সির ভেড়ির একটি অংশ বোজানো হচ্ছে। পরিবেশ দফতর সূত্রে খবর, যে জায়গাটি নিয়ে অভিযোগ, সেটি রামসার প্রকল্প এলাকার মধ্যে পড়ে। ফলে দ্রুত এলাকায় সমীক্ষাও চালানো হয়। এর জেরে গত বছরের মে মাসের পর থেকে টানা ওই রিং রোডের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ।
পরিবেশ দফতর সূত্রে খবর, রিং রোড প্রকল্প ফের চালু করার ছাড়পত্র দিয়েছে পরিবেশ দফতর। তবে যে জলাশয়ের পাশে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, সেখানে কোনও গার্ডওয়াল কিংবা স্থায়ী নির্মাণ করা যাবে না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে। যদিও নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, গার্ডওয়াল বা স্থায়ী নির্মাণ হয়নি, ভবিষ্যতে হবে না। তবে জলাশয়ের ধারে গার্ডওয়াল ছাড়া রিং রোড কতটা সুরক্ষিত থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
|