ই এম বাইপাসের চাপ কমাতে নতুন একটি সড়ক তৈরির কথা ভাবছে রাজ্য। ওই সড়ক উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াবে। প্রাথমিক ভাবে উত্তরের মধ্যমগ্রাম থেকে দক্ষিণের বিষ্ণুপুর-আমতলা পর্যন্ত ওই সড়কের নাম ভাবা হয়েছে ‘গ্রেটার রিং রোড’।
এই রিং রোড তৈরির জন্য গত ২৫ অক্টোবর একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। যার মাথায় রয়েছেন রাজ্য পরিকল্পনা পর্ষদের সদস্য শ্রীময় বসু। ওই টাস্ক ফোর্সের বাকি সদস্যেরা হলেন রাজ্যের পরিবহণসচিব, পুরসচিব, কেএমডিএ-র সিইও, পূর্ত দফতরের যুগ্মসচিব (টেকনিক্যাল), হিডকোর চিফ প্ল্যানার এবং পরিবহণ দফতরের চিফ ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার।
রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “দিন-দিন বাইপাসে গাড়ির ভিড় বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে যানজটও। শহরের পরিধিও বাড়ছে। কিন্তু তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সড়ক বাড়ছে না। তাই দুই শহরতলিকে জুড়তে কলকাতার পূর্ব দিক ধরে নতুন একটি সড়ক তৈরির ভাবনা অনেক দিন থেকেই ছিল। এ বার সেই ভাবনার বাস্তবায়ন এবং সম্ভাব্য রূপরেখা তৈরির জন্য এই টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে।” |
ওই কর্তা জানান, নতুন এই সড়ক মধ্যমগ্রাম থেকে রাজারহাট, ভাঙড়, সোনারপুর হয়ে বিষ্ণুপুর-আমতলা পর্যন্ত যাওয়ার কথা। রাজ্য প্রশাসনের একাধিক শীর্ষকর্তার মতে, শুধু পরিকল্পনাই নয়, সড়ক তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ কী ভাবে হবে, কতটাই বা তার বাস্তবতা রয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখবে ওই টাস্ক ফোর্স। এক কর্তার কথায়, “এ রাজ্যে জমি অধিগ্রহণ সবচেয়ে কঠিন কাজ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ জমি অধিগ্রহণ না হওয়ার কারণে আটকে রয়েছে। তাই শুধু রিং রোড তৈরির কথা ভাবলেই হবে না, সড়ক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি পাওয়া যাবে কি না, তা-ও দেখতে হবে। সে কথা মাথায় রেখেই টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে।” ওই কর্তার মতে, “যে এলাকা দিয়ে গ্রেটার রিং রোড তৈরির ভাবনা হয়েছে, সেই এলাকায় প্রচুর জলাভূমিও রয়েছে। সেই সব জায়গা দিয়ে কী ভাবে সড়ক নিয়ে যাওয়া হবে, তা-ও খতিয়ে দেখবে ওই টাস্ক ফোর্স। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে পরিকল্পনা হবে।” পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, শুধু গ্রেটার রিং রোডের রূপরেখা তৈরিই নয়, শহরের বিভিন্ন জায়গায় উড়ালপুল তৈরির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে টাস্ক ফোর্সকে। পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, “শহরের বিভিন্ন জায়গায় উড়ালপুল হওয়া দরকার। কিন্তু তার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। সে জন্যই বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের নিয়ে তৈরি টাস্ক ফোর্সকেই উড়ালপুল গড়ার সম্ভাব্য রূপরেখা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” |