বড়বাজারে আর্থিক লেনদেনকারী সংস্থার অফিসের এক কর্মীকে হাত করতে না পারাতেই ডাকাতেরা ধরা পড়ে যায় বলে গোয়েন্দাদের দাবি।
সোমবার বড়বাজারের বর্নফিল্ড রোডে ওই সংস্থায় ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ে তিন দুষ্কৃতী। তাদের দু’জন পাঁচতলা থেকে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে চোটও পায়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডাকাতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই রাতে সংস্থার এক কর্মীকেও গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। ধৃত এক দুষ্কৃতীকে মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়। তাকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
কী ভাবে ধরা পড়ল ডাকাতেরা? গোয়েন্দারা এ দিন জানান, ডাকাতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ধৃত সংস্থার কর্মী শিবা ওরফে মনোজ পারেখ জেরায় জানায়, সংস্থার অন্য এক কর্মী শ্রবণ পারেখকে পরিকল্পনায় সামিল করা যায়নি। যে সময়ে দুষ্কৃতীরা ওই অফিসে হামলা চালায়, সেই সময়ে শ্রবণের অফিসের বাইরে থাকার কথা ছিল।
গোয়েন্দারা জানান, যে কাজে পাঠানো হয়েছিল, নির্ধারিত সময়ের আগেই তা শেষ হয়ে যাওয়ায় শ্রবণ অফিসে ফিরে আসেন। অফিসে ঢুকে তিনি দেখেন, ভিতরে তিন সশস্ত্র দুষ্কৃতী আলমারি থেকে টাকার বান্ডিল বার করছে। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করেন শ্রবণ। তাঁর চিৎকারে দুষ্কৃতীরা প্রথমে অফিসের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল। শ্রবণকে থামাতে তাঁর মাথায় ছুরিও মেরে বসে তারা। কিন্তু ততক্ষণে পাশের অন্য অফিসের লোকেরা দরজায় ধাক্কা মারতে শুরু করে দিয়েছেন। দরজা খুলতেও বলা হচ্ছে। এতেই ভয় পেয়ে অফিসের জানালা গলে পাশের বাড়ির ছাদে নেমে তিন দুষ্কৃতী পাইপ বেয়ে নেমে পালাতে যায়। তখনই পা পিছলে পড়ে গিয়ে জখম হয় দুই দুষ্কৃতী। ধরাও পড়ে যায় তারা।
তবে গোয়েন্দারা জানান, ঘটনার পরে শ্রবণ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কেন? গোয়েন্দাদের দাবি, ওই কর্মী জিজ্ঞাসাবাদে জানান, পাছে পুলিশ তাঁকে ধরে, সেই কারণে ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রে মাথায় চোট পেয়েও তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে পালান। স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ওষুধ লাগান। পরে তিনি জানতে পারেন, শিবাই দুষ্কৃতীদের নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল। শিবা গ্রেফতার হয়েছে খবর পেয়ে তিনি পুলিশের কাছে যান। |