সব পক্ষ অংশ না নেওয়ায় নির্বাচন নিয়ে হতাশা রয়েছে বটে, কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধে নেই আমেরিকার। সোমবার রাতে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মেরি হার্ফ এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই অবস্থান ঘোষণার পরে নিঃসন্দেহে স্বস্তি পেলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।
বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা বরাবরই বিএনপি ও তার শরিক জামাতে ইসলামির পক্ষে সওয়াল করে গিয়েছেন। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মূল্যায়নের বিরোধিতা করায় ভারতের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। ভারতের বিদেশসচিব ওয়াশিংটনে গিয়ে সোজা-সাপ্টা জানিয়ে আসেন, বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতিতে কট্টর মৌলবাদী জামাতে ইসলামের প্রতিষ্ঠা দিল্লির কাছে অবাঞ্ছিত। অথচ ঢাকায় মাকির্ন দূত সে কাজটাই করছেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনারা সরে যাওয়ার পরে তালিবানের রমরমা ফের বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দিল্লি জানায়, এই পরিস্থিতিতে জামাত ক্ষমতায় এলে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে। কারণ মুখে প্রগতিশীল কথাবার্তা বললেও এই দলের নেতারা জঙ্গিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
ভারতের আপত্তির পরেও অবশ্য মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি হাসিনাকে ফোন করে যুদ্ধাপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামাত নেতাদের শাস্তি কার্যকর করা থেকে বিরত থাকার আর্জি জানিয়েছেন। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরেও সবাইকে নিয়ে ফের নির্বাচন করার কথা বলেছিল আমেরিকা। ভারতের আশঙ্কা ছিল, ঢাকার ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত চাপাতে পারে আমেরিকা। এ জন্য ঢাকার পাশে দাঁড়িয়ে কূটনৈতিক তত্পরতাও চালাচ্ছে দিল্লি। কাল ওয়াশিংটনের এই ঘোষণায় নিঃসন্দেহে তারাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে। |