আজ থেকে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলীয় ওপেনের লড়াই। কোচ হিসাবে চেঞ্জিং রুম থেকে প্র্যাকটিস কোর্ট, প্র্যাকটিস কোর্ট থেকে জিমকরতে করতে মনে হচ্ছে আমি যেন পুরনো সেই দিনগুলোয় ফিরে গিয়েছি। যেন টেনিসের এই চেনা জগৎটা কোনও দিন ছেড়েই যাইনি! আমাদের সময়ের এক ঝাঁক চেনা মুখকে আশেপাশে দেখতে পাচ্ছি বলে কাজটা আরও সহজ হচ্ছে। যেমন আমার পুরনো বন্ধু স্তেফান এডবার্গ, যে রজার ফেডেরারের টিমে। অ্যান্ডি মারের কোচ হিসাবে ইভান লেন্ডল তো আগে থেকেই সার্কিটে ছিল, গোরান ইভানিসেভিচ, সার্গেই ব্রুয়েগেরাও কোচিংয়ে চলে আসায়, আমরা পুরনোরা এখন শুধু দলেই ভারী নই, লড়াইয়ের ময়দানেও ফিরে এসেছি! বলতেই হচ্ছে, এই মহামারি টেনিসের জন্য ভীষণ সুস্থ লক্ষণ। যেখানে আগের প্রজন্মের চ্যাম্পিয়নদের হাতে তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়নরা। |
প্রস্তুতি। মেলবোর্নে মারিয়া শারাপোভা। ছবি: এএফপি। |
মহামারিটা এখনও মেয়েদের টেনিসে ছড়ায়নি। তবে আমার ধারণা ছোঁয়াচটা লাগল বলে! ড্র-এর সময় ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার সঙ্গে দেখা হল। মেয়েটা মেলবোর্নে খেলা সত্যিই উপভোগ করে। অসম্ভব ফুরফুরে, রিল্যাক্সড আর সংযত দেখাচ্ছে ওকে। ওর মধ্যে একটা শান্ত আত্মবিশ্বাসও কাজ করছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের ঠিক যেমনটা থাকা উচিত।
তবে আজারেঙ্কা-সহ বাকিদের সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জের নাম অবশ্যই সেরেনা উইলিয়ামস। এই মুহূর্তে দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকা সেরেনা নিজের ‘এ গেম’ বের করে আনলে ওকে হারানো প্রায় অসম্ভব হবে। তবু বলছি, গত মরসুমে সেরেনা যে একতরফা দাপটটা দেখিয়েছিল, নতুন মরসুমে তরুণ প্রজন্মের সেটাকে চ্যালেঞ্জ করা উচিত। সেরেনাকে ওর সিংহাসন থেকে টলানোর মতো গোলাবারুদ নতুনদের মধ্যে আছে কি না, তার একটা আন্দাজ বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামেই পেয়ে যাব আমরা।
অবশ্য সেরেনা বা আজারেঙ্কা নয়, মেলবোর্নে যে মেয়ের পারফরম্যান্সের দিকে আমি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি, সে মারিয়া শারাপোভা। গত দু’বছর পর পর চোট আঘাতে ভোগার ফলে মারিয়া কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু তা-ও আমি মনে করি মারিয়াই একমাত্র প্লেয়ার যে নিজের দিনে সেরেনাকে বিপদে ফেলতে পারে। মারিয়ার রিটার্ন অব সার্ভ দুরন্ত। যা দিয়ে ও সেরেনার বিগ সার্ভের পাল্টা জবাব দিতে পারে।
মারিয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু ওর ফিটনেস। কিন্তু এ বার মেলবোর্নে ও যদি পুরো ফিট থেকে খেলে, তা হলে মারিয়াই হবে আমার কালো ঘোড়া। |