ডার্বি জেতার চব্বিশ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ফের বিতর্ক মোহনবাগানে। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সেই সুব্রত ভট্টাচার্য।
কী নিয়ে বিতর্ক? বড় ম্যাচের আগের দিন মোহনবাগান ড্রেসিংরুমে গিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সবুজ-মেরুনের ঘরের ছেলে বাবলু। যা নিয়ে কোচ করিমের মধ্যে তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। রবিবার মোহনবাগানের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলাররা যখন খুশি ক্লাবে আসতেই পারেন। কিন্তু ড্রেসিংরুম কেবল বর্তমান ফুটবলার, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফের জন্যই। সেখানে ফুটবলারদের কিছু বলতে গেলে চিফ কোচের অনুমতি ছাড়া প্রাক্তন ফুটবলাররা যেন না ঢোকেন।” বড় ম্যাচের আগের দিন ক্লাব প্রেসিডেন্ট টুটু বসুর নির্দেশ ‘উপেক্ষা’ করে সুব্রত ভট্টাচার্যের ড্রেসিংরুমে ঢোকার প্রসঙ্গ টেনে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কোচ করিমের অনুমতি এক্ষেত্রে ছিল না।” উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা হয়েছে, “ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ড্রেসিংরুমেও প্রবাদপ্রতিম ববি চার্লটনকে ঢুকতে হলেও বর্তমান কোচ মোয়েসের অনুমতি নিতে হয়।”
মোহনবাগানের এই বিবৃতির পর ক্ষুব্ধ সুব্রত বলছেন, “টুটুবাবু চাইছেন চুনী, বদ্রু, সুব্রত, প্রসূন, সত্যজিতের মতো ফুটবলারযারা এই ক্লাবের জন্য ঘাম-রক্ত ঝরিয়েছে তারা ক্লাবে না আসুক।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “সে দিন ক্লাবের ড্রেসিংরুমে কোনও টিম মিটিং চলছিল না। তিন-চার জন ফুটবলার ছিল। বড় ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেই চলে আসি।”
তবে সুব্রত যাঁদের নাম জড়িয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে চুনী, গোস্বামী এই ইস্যুতে কিছুটা হলেও ক্লাব কর্তাদের পাশে। তিনি বললেন, “মোহনবাগানে সুব্রতর অবদান ভোলার নয়। তবে ড্রেসিংরুম ফুটবলার এবং কোচেরই। সেখানে ও না ঢুকলেই পারত।” বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বললেন, “সুব্রত মোহনবাগানে সব সময়ই স্বাগত। তবে মোহনবাগানের উচিত এ সব বিতর্ক ভুলে ট্রফি জেতার দিকে মন দেওয়া।” মোহনবাগানের আর এক ঘরের ছেলে সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও সুব্রতর পাশে। বললেন, “বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক হচ্ছে। বাবলুদা ক্লাবে গিয়েছে এটা দেখে কোচ করিমেরই উচিত ছিল ওকে ডেকে এনে ফুটবলারদের সামনে বক্তব্য রাখতে দেওয়ার জন্য।” |