দেবযানী খোবরাগাড়েকে নিয়ে টানাপোড়েনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মার্কিন মুলুকে ভারতীয় কূটনীতিকদের মধ্যে। ফলে নড়ে বসেছে সাউথ ব্লক। সূত্রের খবর, কূটনীতিকদের সঙ্গে আমেরিকায় যাওয়া পরিচারক-পরিচারিকাদের ভিসার স্ট্যাটাস বদলানোর জন্য সক্রিয়তা শুরু হয়েছে কেন্দ্রে।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছেন বিদেশসচিব সুজাতা সিংহ। পরিচারিকা সঙ্গীতা রিচার্ডকে নিয়ে সমস্যার জেরেই নিউ ইয়র্কে ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়েকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বহু টানাপোড়েনের পরে দেবযানী দেশে ফিরেছেন। কিন্তু দু’রাষ্ট্রের মধ্যে তিক্ততা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে অন্য ভারতীয় কূটনীতিকরা মনে করছেন, পান থেকে চুন খসলেই মার্কিন প্রশাসন তাঁদেরও বিপাকে ফেলতে পারে। অনেকেই পরিচারকদের দেশে ফেরত পাঠানোর কথা ভাবছেন।
কূটনৈতিক সূত্রে খবর, বিপাকে ফেলার হাতিয়ারও মার্কিন প্রশাসনের হাতে আছে। কারণ, পরিচারকদের ভিসার টাইপ হল এ-৩। এই ভিসার অধীনস্থ বসবাসকারীরা সরাসরি মার্কিন আইনের আওতায় পড়েন। কেন্দ্র যদি এই পরিচারকদের ভারতীয় সরকারি কর্মীর মর্যাদা দেয় তা হলে তারা ভারতীয় আইনের আওতায় আসবেন। গোটা প্রস্তাবটিতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অনুমোদন প্রয়োজন।
অন্য দিকে দেশে ফিরলেও ত্রাস এবং দুশ্চিন্তা যে তাঁর পিছু ছাড়ছে না আজ এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দেবযানী। জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী ও বাচ্চাদের আমেরিকায় ফেলে আসায় তাঁর মন ভারাক্রান্ত। তাঁর কথায়, “জানি না আর কখনও আমার পরিবারের কাছে, স্বামী এবং বাচ্চাদের কাছে ফিরতে পারব কি না।”
|