ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন জমা নিয়ে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতু গড়ের ডক্টর সহিদুল্লা স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে মারপিটে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই সমর্থকেরা। শনিবার দুপুরে ওই গণ্ডগোল রুখতে গিয়ে জখম হন এক পুলিশকর্মী। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার ছিল উত্তর ২৪ পরগনার ওই কলেজে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় আগে থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশ ও র্যাফ। বিডিও হাজির ছিলেন, জারি ছিল ১৪৪ ধারা। এসএফআইয়ের অভিযোগ, তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরোতেই আচমকা তিনি ‘বহিরাগত’ দাবি করে কলেজের গেট ভেঙে ঢুকে পড়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বেশ কয়েক জন। ছাত্রটিকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু হয়ে যায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, পুলিশের লাঠিতে তাদের পাঁচ জন জখম হয়েছে। তিন জন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছাত্রদের সামলাতে গিয়ে জখম হন দেগঙ্গা থানার এএসআই নির্মলচন্দ্র দে। এসএফআই জেলা সম্পাদক অয়ন বসুর অভিযোগ, “শুধু পুলিশের উপরে নয়, তৃণমূলের ছেলেরা আমাদের ছেলেদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হামলা করেছে।”
তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মিন্টু সাহাজি অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেন, “আমাদের ছেলেরা কিছু করেনি। এসএফআই-এর ছেলেরাই ঝামেলা পাকায়। পুলিশ উল্টে ওদের হয়ে আমাদের আক্রমণ করেছে।” জেলা পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “ওই কলেজে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের কিছু সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |