প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে লড়ছে না তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। বেশ কিছু দিন বন্ধ রাখার পর প্রেসিডেন্সি-সহ সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ ভোটের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পাণ্ডার যা বক্তব্য, তা রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধী। শনিবার শঙ্কু বলেন, “সরকার সরকারের কাজ করছে। আমরা সংগঠনের কাজ করছি। আমরা প্রেসিডেন্সিতে লড়ব না।” প্রেসিডেন্সির ভোটে অংশ না নেওয়ার কারণ হিসাবে তাঁর বক্তব্য, “বাম জমানায় প্রেসিডেন্সির অবনতি হয়েছিল। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের সুশাসনে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি হচ্ছে। এই সময়ে ছাত্রভোট ওখানকার উৎকর্ষের পথে অন্তরায় হবে।”
প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংগঠন ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসোলিডেশন (আইসি)-এর অবশ্য বক্তব্য, গত বছর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরে অভিযুক্ত হওয়ার পর এ বছর সেখানে ছাত্রভোটে লড়া টিএমসিপি-র পক্ষে সম্ভব নয়। আইসি নেতা ছন্দক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “উৎকর্ষের স্বার্থে ভোটে না লড়লে তো গোটা রাজ্যে কোনও ভোটেই তৃণমূলের লড়া উচিত নয়! কারণ, ওদের নেত্রী সারা রাজ্যেই উন্নয়ন করছেন বলে দাবি করেন! আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের পর টিএমসিপি-র আর ভোটে লড়ার মুখ নেই।” এসএফআইয়ের বক্তব্য, প্রেসিডেন্সিতে সংগঠন নেই বলেই টিএমসিপি সেখানে ভোটে লড়ছে না। এসএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মধুজা সেনরায় বলেন, “উৎকর্ষ এবং টিএমসিপি দু’টি বিপরীতার্থক শব্দ। টিএমসিপি-র প্রেসিডেন্সিতে সংগঠন নেই। তাই তারা সেখানে লড়ছে না।” |