রেললাইনের ধারে একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হল অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ। শনিবার বিধাননগরের স্টেশন সংলগ্ন দক্ষিণদাড়ি এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি দাঁ এবং মহিলার গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে এটিকে খুন বলেই মনে করছে পুলিশ। মাঝবয়সী ওই মহিলার উপরে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ রেললাইন সংলগ্ন বস্তির বাসিন্দারা আপ লাইনের পাশের ঝোপের ভিতরে কমলা রঙের ছাপা শাড়ি পরা ওই মহিলার দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে রেলপুলিশ (জিআরপি) ও উল্টোডাঙা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থল কার অধীনে, তা নিয়ে মতভেদ দেখা দেয় রেল ও কলকাতা পুলিশের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত জিআরপি একটি খুনের মামলা দায়ের করে মহিলার দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায়। রাত পর্যন্ত অবশ্য মহিলার নাম-পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। মহিলার ছবি ওই এলাকার আশপাশের থানাতেও পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিহত মহিলার মাথার পিছনে ও বাঁ গালে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া দাঁ দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে মহিলার শরীরে কোনও ধ্বস্তাধ্বস্তির চিহ্ন মেলেনি। তবে তাঁর পোশাক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রেলপুলিশের এক কর্তা বলেন, “যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না, ময়না-তদন্তের রিপোর্টেও তা বোঝা যেতে পারে।”
ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় রাতের দিকে চোলাইয়ের ঠেক-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম চলে। দক্ষিণদাড়ি এলাকার কিছু দুষ্কৃতীরও আনাগোনা রয়েছে। যেখানে মহিলার দেহ পড়ে ছিল, সে জায়গাটিও ওই অসামাজিক ঠেকের মধ্যেই পড়ে। এই খুনের পিছনে ওই আড্ডায় যোগ দিতে আসা লোকজনের সম্পর্ক থাকতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেই খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। সে ক্ষেত্রে রেললাইন সংলগ্ন আড্ডার সম্পর্কটা অনেক বেশি জড়িত থাকতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন। যদিও তদন্তকারীদের অন্য একটি অংশের বক্তব্য, মহিলাকে ওই ঝোপেই খুন করা হয়েছে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। অন্য কোথাও খুন করেও দেহটি এখানে ফেলে যাওয়া হতে পারে।
জিআরপি-র এক কর্তা বলেন, “তদন্তে কয়েকটি দিক উঠে আসছে। মহিলার পরিচয় জানতে পারলে রহস্য সমাধানে সুবিধে হবে।” |