আইপিএস স্বামীর নামে আইএএস স্ত্রীর নালিশ
স্বামী আইপিএস। স্ত্রী আইএএস। স্বামী হৃষীকেশ মিনা রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের (আইবি) স্পেশ্যাল সুপার। স্ত্রী অর্চনাদেবী রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি দফতরের কমিশনার।
এ-হেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে বধূ-নির্যাতন, খুনের চেষ্টা, শিশুকে মারধর-সহ নানান অভিযোগ দায়ের করেছেন পদস্থ আমলা অর্চনাদেবী। স্বরাষ্ট্র দফতর সেই অভিযোগ লালবাজারে পাঠিয়ে দিয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ইতিমধ্যেই হৃষীকেশবাবু, তাঁর বাবা এবং তিন বোনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারিণী, দুই অফিসারের সঙ্গেই ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের কেউই ফোন তোলেননি।
নবান্ন সূত্রের খবর, হৃষীকেশবাবু ২০০৪ সালের আইপিএস অফিসার। রাজ্য পুলিশে যাওয়ার আগে তিনি কলকাতা পুলিশ, সিআইডি-তেও কাজ করেছেন। ২০১২ সালের নভেম্বরে বীরভূমের লোবা পঞ্চায়েত এলাকায় একটি সংস্থার মাটি কাটার যন্ত্র আটকে রাখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। গ্রামবাসী ও পুলিশের সেই সংঘর্ষ নিয়ে তোলপাড় হয়। তখন বীরভূমের পুলিশ সুপার ছিলেন হৃষীকেশবাবু। ওই ঘটনার পরে তাঁকে বদলি করে দেয় রাজ্য সরকার। আর অর্চনাদেবী ২০০২ সালের আইএএস। আগে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদহের জেলাশাসক ছিলেন। বছর দশেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি শিশুসন্তান আছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগে অর্চনাদেবী স্বরাষ্ট্র দফতরে নির্যাতনের অভিযোগ জানান। সেখান থেকে অভিযোগটি যায় কলকাতা পুলিশের কাছে। বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা বিভাগের ‘উইমেন গ্রিভান্স সেল’ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা করে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। তদন্তকারীদের দাবি, ২০০৬ সালেও হৃষীকেশবাবুর বিরুদ্ধে বধূ-নির্যাতনের মামলা করেন অর্চনাদেবী। পরে সেই মামলা তুলে নেওয়া হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.