মধ্যমগ্রাম-কাণ্ড নিয়ে এ বার পথে নামল লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি। মধ্যমগ্রামের নির্যাতিতার মৃত্যুর পরেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট নিতে এবং পরিবারটিকে অর্থ সাহায্য দিতে পটনা থেকে পুলিশ-কর্তাকে পাঠিয়েছিলেন কলকাতায়। বিহার সরকারের সেই উদ্যোগের পরে এ বার লালুপ্রসাদের নির্দেশে শুক্রবার রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তাঁর দল আরজেডি। ওই চত্বরে ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে হেয়ার স্ট্রিট থানা জানিয়েছে। আরজেডি-র রাজ্য সভাপতি বিন্দাপ্রসাদ রাই জানান, ঘটনার সিবিআই তদন্ত, নির্যাতিতার পরিবারের সুরক্ষা ও দোষী পুলিশের শাস্তির দাবিতে এ দিন তাঁরা স্ট্র্যান্ড রোড থেকে মিছিল করে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন।
পাল্টা প্রচারে নেমেছে তৃণমূলও। মধ্যমগ্রাম-কাণ্ডে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিরোধীরা যে সমস্ত অভিযোগ তুলছে, তা নস্যাৎ করে তাদের পাল্টা সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, শ্যামল চক্রবর্তীদের রীতিমতো কটাক্ষ করে এ দিন দমদমের এক সভায় মুকুলবাবু বলেন, “মধ্যমগ্রামের যে পাড়ায় ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার বাসিন্দাদের শিক্ষা-দীক্ষার উপরে বুদ্ধবাবু, শ্যামলবাবুরা ভরসা করতে পারেননি! মধ্যমগ্রামের ওই পাড়ার বাসিন্দারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেননি বলেই কি তাঁদের থেকে বহু দূরে থাকা শ্যামলবাবু এবং আরও দূরে থাকা পাম অ্যাভেনিউয়ের বাসিন্দা বুদ্ধবাবু সেই দায়িত্ব ভার তুলে নিয়েছেন!”
রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সুশাসন চলছে জানিয়ে মুকুলবাবুর দাবি, “রাজ্যের সরকার বা প্রশাসনের উপরে মানুষের আস্থা, বিশ্বাস আছে কি না, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ মেলে ভোটের ফলে। গত আড়াই বছরে রাজ্যে যতগুলি ভোট হয়েছে, সমস্ত ভোটের ফলেই প্রমাণ হয়েছে মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনের উপরেই ভরসা করছে।” সামনে লোকসভা ভোটে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্যেই সিপিএম-সহ বিরোধীরা মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর কথায়, “লোকসভা ভোটে সিপিএম বিরল প্রজাতির প্রাণীতে পরিণত হবে!” |