কাশীপুরের পঞ্চকোট রাজপরিবারের দেবীবাড়িতে চুরির ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত এক দাগী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। একই দিনে ধরা পড়েছে মাদক চোরাচালানে যুক্ত পুরুলিয়ার আর এক দাগী দুষ্কৃতীও। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বারুদ ওরফে লালবাবু আনসারি ও আসিরুদ্দিন আনসারি। প্রথম জনের বাড়ি পাড়া থানার বড় ইরগা গ্রামে। আসিরুদ্দিন আনসারি একই থানার রিগুডি গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, দু’জনেরই বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার বহু অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আসিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পাড়া থানার পুলিশ। বারুদকে ধরেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। আসিরুদ্দিনের কাছ থেকে বেশ খানিকটা গাঁজা উদ্ধারও হয়েছে। পুলিশের দাবি, বারুদ কাশীপুরের পঞ্চকোট রাজপরিবারের মন্দির থেকে মূর্তি ও অলঙ্কার চুরির ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসের প্রথমদিকে কাশীপুরের পঞ্চকোট রাজপরিবারের দেবীবাড়ি থেকে মূর্তি ও অলঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সে যাত্রা স্থানীয় এক যুবকের সাহসিকতায় দুষ্কৃীরা পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। পুলিশের দাবি, জেলার অন্যতম দাগী দুষ্কৃতী বারুদ আনসারি ওই ঘটনার সাঙ্গে জড়িত। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে বারুদকে তার বাড়ি থেকে পাকড়াও করে। শুক্রবার রঘুনাথপুর আদালত ধৃতকে পুলিশি হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অন্য দিকে, অপর ধৃত দুষ্কৃতী আসিরুদ্দিনকে পাড়া থানা এলাকারই অর্জুনবাগান মোড় থেকে ধরা হয়েছে। পুলিশের দাবি, তার কাছ থেকে ২ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। এসডিপিও (রঘুনাথপুর) কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলার অন্যতম দাগী দুষ্কৃতী হিসেবে পুলিশের খাতায় আসিরুদ্দিনের নাম রয়েছে। বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আসিরুদ্দিন মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকা-সহ বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে অপরাধ সংঘটিত করত।” |