|
|
|
|
গোলমাল এড়াতে ক্যামেরা,
তবু মনোনয়ন নিয়ে ছাত্র সংঘর্ষ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
ছাত্র সংসদের নির্বাচনে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে গোলমাল এড়াতে বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন কলেজের সামনে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যাতে কোনও গোলমাল হলে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না গোলমাল। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়া শহিদ নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ে। দু’দল ছাত্রের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ৬ জন। আহতদের মধ্যে এক এসএফআই সমর্থকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের শাঁড়াপুল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও পুলিশের বক্তব্য নিছর বচসা থেকেই দু’দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। |
|
বেড়াচাঁপা শহিদুল্লা স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের গেটের সামনে ভিডিও ক্যামেরার ব্যবস্থা।—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আগামী ২২ জানুয়ারি ছাত্র সংসদের নির্বাচন। মনোনয়ন পত্র জমা নিয়ে কেউ যাতে কোনও অশান্তি করতে না পারে সে জন্য সরকারি ভাবে কলেজের সামনে ভিডিও ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা হয়েছে। এ দিনের ঘটনায় তেঁতুলিয়া শহিদ নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের পক্ষে হামালউদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, “মনোনয়ন জমা দিতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতেই কলেজের সামনের ও পিছনের গেট বন্ধ করে দিয়ে তৃণমূল বহিরাগতদের দিয়ে তাঁদের সমথর্কদের মারধর শুরু করে। কয়েকজন এমনই গুরুতর আহত হয় যে তাঁদের পুলিশের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, “এই ভাবে চলতে থাকলে ছাত্র নির্বাচন অসম্ভব।” মারধরের প্রতিবাদে এ দিন স্বরূপনগরের বিডিও-র দফতরের সামনে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের এসডিপিও। ছাত্র পরিষদের পক্ষে মুজিবর রহমান অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর দাপটে তাঁদের দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষে রমেন সর্দার বলেন, “মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার প্রশ্নই নেই। তবে এসএফআই বহিরাগতদের এনে কলেজে ঢুকে উত্তেজনা ছড়াতে চাইলে ছাত্ররা প্রতিবাদ করে।” |
|
|
|
|
|