থানাতেই হাতাহাতি স্বামী ও প্রেমিকের পরিবারের
চেয়ারে বসে মাথা নিচু করে বছর কুড়ির এক তরুণী। চারপাশে এক গাদা লোক, কে যে কার সঙ্গে ঝগড়া করছে বোঝা দায়। এক সময়ে শুরু হয়ে যায় মারপিট। থানার ভিতরে সেই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত পুলিশ কর্মীরাও।
গোলমালটা বিবাহিতা ওই তরুণীকে নিয়েই। প্রেমিক না স্বামী কার কাছে যাবেন ওই তরুণী, তা নিয়েই ঝামেলা। শেষমেশ তরুণীকে নিয়ে বসিরহাট আদালতে হাজির হয় পুলিশ। বিচারকের নির্দেশে দু’দিনের জন্য তাঁকে পাঠানো হয়েছে হোমে।
বছর তিনেক আগে ওই তরুণীর বিয়ে হয়েছিল সন্দেশখালির এক শিক্ষকের সঙ্গে। মেয়েটি পড়ে বসিরহাট কলেজে। সেখানেই এক ছাত্রের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন তিনি। ওঠেন হাসনাবাদে। সেই খবর পেয়ে সন্দেশখালি থানায় ডায়েরি করেন স্বামী।
সন্দেশখালি থানার দুই পুলিশকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার আসেন হাসনাবাদ থানায়। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে প্রেমিকের সঙ্গে পৌঁছন ওই তরুণী। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় থানার বাইরে তখন গ্রামের লোকে ভিড় করেছেন। ভিতরে সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে পুলিশ।
স্বামী ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন স্ত্রীকে। প্রেমিক আবার বলেন, তরুণীকে ছাড়া তাঁর জীবনই বৃথা। দু’পক্ষের আত্মীয়েরাও পীড়াপিড়ি করতে থাকেন। বিশেষ উত্তর করতে পারেননি তরুণী। হঠাৎ পুলিশের সামনেই তরুণীর প্রেমিক ও স্বামীর পরিবারের মধ্যে মারপিট বেধে যায়। মহিলাদের মধ্যেও চুলোচুলি লাগে। তরুণীর পরিবারের লোকজনও জড়িয়ে পড়েন তাতে। স্তম্ভিত পুলিশ।
খানিকক্ষণ বাদে গলা খাঁকড়িয়ে বড়বাবু জানান, অনেক হয়েছে। এ বার যা হবে আইনের পথে। মেয়েটিকে নিয়ে আদালতের পথে রওনা দেয় পুলিশ।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.