|
|
|
|
পাঁচ বছর পর অডিটোরিয়াম তৈরির কাজ শুরু বিদ্যাসাগরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অর্ধসমাপ্ত অডিটোরিয়াম সম্পূর্ণ করতে উদ্যোগী হলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার নারকেল ফাটিয়ে ওই কাজের শুভ সূচনা করলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী। আর এই কাজটি শুরু করতে সময় লেগে গেল প্রায় ৫ বছর! আর এর ফলেই অডিটোরিয়াম নির্মাণের ব্যয়ও বেড়ে গেল কয়েক কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জয়ন্তকিশোর নন্দী বলেন, “অডিটোরিয়াম তৈরির কাজ শুরু হওয়ার ফলে বেশ কয়েক’টি বিষয়ে জটিলতা দেখা দেয়। ফলে মাঝ পথেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন সব জট কাটিয়ে ফের সেই কাজ শুরু করা হল।” তবে এ বার যাতে আর কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য এ ব্যাপারে তীক্ষ্ন নজর রাখা হবে বলে তিনি জানান।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান করার উপযোগী তেমন কোনও অডিটোরিয়াম নেই। যে দু’টি হল রয়েছে তার পরিসর বড্ড ছোট্ট। সেখানে বড় জোর শিক্ষকদের নিয়ে কোনও আলোচনা সভা বা একটি বিভাগের কোনও অনুষ্ঠান করা যায়। সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে অনুষ্ঠান করার মতো কোনও ব্যবস্থা নেই। |
|
অডিটোরিয়ামের কাজের সূচনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা।
রয়েছেন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীও (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)। —নিজস্ব চিত্র। |
ফলে এই ধরনের যে কোনও অনুষ্ঠানে শহরের অন্য সভাগৃহ ভাড়া করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। শহরের এই সমস্ত সভাগৃহ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব অনেকটাই। ফলে কর্তৃপক্ষের যেমন অসুবিধে হয়, তেমনি বাইরের থেকে আসা অতিথিরাও সব সময় বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখার সুযোগ পান না। এর জেরে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরেও চরম বিতর্ক দেখা গিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে প্রথম কোনও রাষ্ট্রপতি আসবেন অথচ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকবেন না তা কী হতে পারে? এই চিন্তাভাবনা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থাকা ছোট্ট সভাগৃহেই অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই হাজির থাকতে না পারায় বেশ কিছু প্রশ্নও উঠেছিল। জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা করেও বিতর্ক এড়ানো যায়নি।
এ সব এড়াতে অবশ্য ২০০৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই একটি সভাগৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ১২০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়ামের ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৭ কোটি টাকা। কিন্তু কাজ শুরু হতেই কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। দেখা যায়, যে ভাবে পরিকল্পনা হয়েছিল কাজ সে ভাবে হচ্ছে না। এ নিয়ে কনসালট্যান্ট সংস্থা, ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় কাজ। পরে তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এখন অবশ্য সমস্যা মিটেছে। ওই দু’টি সংস্থার পাশাপাশি আরও একটি কনসালট্যান্ট সংস্থাও নিয়োগ করা হয়েছে। আর গোটা বিষয়টির নজরদারিতে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে অবশ্য খরচ বেড়ে ১০-১২ কোটিতে পৌঁছে যাবে। তাতেও ১২০০ আসন করা যাবে না। বড় জোর ৯০০-১০০০ আসন হবে। তৈরি হওয়া সভাগৃহের যে সব জায়গায় সমস্যা রয়েছে তা ভেঙে নতুন করে হবে। ৮ মাসের মধ্যেই সভাগৃহ তৈরি শেষ করতে হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই সভাগৃহ নির্মাণের কাজে এমন সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যার ফলে অর্থ ব্যয় যেমন বাড়ল তেমনি আসন সংখ্যাও কমল। পাশাপাশি মাঝের ৫টি বছর সভাগৃহ থেকে বঞ্চিতও হল বিশ্ববিদ্যালয়। ফের যাতে এ
ধরনের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বিশেষ নজর রাখবে বলে জানিয়েছে।ই দাবিও উঠেছে এ বার। |
|
|
|
|
|