|
|
|
|
আইপিএল সেভেন |
নাইট রাইডার্স রাখল গম্ভীর আর নারিনকে, চমক দিল্লির
নিজস্ব প্রতিবেদন
১০ জানুয়ারি
|
আইপিএল সেভেনে প্লেয়ার ধরে রাখার নীতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সেরা পারফর্মারদের দিকেই ঝুঁকল। নিয়ম অনুযায়ী সর্বাধিক পাঁচ ক্রিকেটারকে ধরে রাখা গেলেও ক্যাপ্টেন গৌতম গম্ভীর আর স্পিনার সুনীল নারিন বাদে বাকি টিম নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যানেজমেন্ট। তবে চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রাজস্থান রয়্যালস পাঁচ প্লেয়ারই ধরে রাখছে। আবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্ষেত্রে সংখ্যাটা তিন। যদিও কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দু’জন করে প্লেয়ারের বেশি ধরে রাখছে না। আর গোটা টিমকেই নিলামে তোলার ঘোষণা করে চমক দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের।
শুক্রবার ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। তাই কারা শেষ পর্যন্ত পুরনো টিমের জার্সিতে নতুন আইপিএল মরসুমে নামবেন, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। দু’বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই তিন প্লেয়ারের উপর ভরসা রেখেছে এ বার। যাঁরা চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সি ছাড়া আইপিএলে অন্য কোনও টিমেই খেলেননি। ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, সুরেশ রায়না আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁদের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ মাইক হাসি আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ডোয়েন ব্র্যাভোকেও রেখে পুরো কোটার সুবিধা নিল চেন্নাই।
শাহরুখ খানের চ্যাম্পিয়ন টিমকে দু’বছর আগে নেতৃত্ব দেওয়া গম্ভীর এ বারও একই ভূমিকায়। এই নিয়ে টানা চার মরসুম ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে দিল্লির তারকা প্লেয়ার। আইপিএল ফাইভের সেরা পারফর্মার নারিনের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিলেন কেকেআর কর্তারা। টিমের সিইও বেঙ্কি মাইসোর বলেন, “আমাদের প্রধান দুই প্লেয়ারকে ধরে রাখতে পারায় আমরা খুব খুশি। চেষ্টা করব দারুণ একটা দল গড়ার। আইপিএলের নিয়মের কারণে টিমের অনেক প্লেয়ারকে রাখা গেল না। যারা গত তিন মরসুম গর্বিত করেছে।” |
|
আইপিএল সিক্স চ্যাম্পিয়ন মুম্বইও মূল দল ধরে রাখতে পাঁচ ক্রিকেটার রোহিত শর্মা, কায়রন পোলার্ড, হরভজন সিংহ, অম্বাতি রায়ডু আর লাসিথ মালিঙ্গাকে রাখছে এ বার। অ্যাসেজে দুরন্ত সফল হলেও মিচেল জনসনকে পুরনো টিমে ফেরার জন্য নিলাম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। একই অবস্থা স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝারও। রাজস্থান রয়্যালসকে গত পাঁচ বছরে নেতৃত্ব দেওয়া দুই প্রাক্তন অধিনায়ক শেন ওয়ার্ন আর রাহুল দ্রাবিড়ের বিশ্বস্ত সৈনিক শেন ওয়াটসন থাকছেন এ বারও। অস্ট্রেলীয় তারকা ছাড়া পেসার জেমস ফকনার, ওপেনার অজিঙ্ক রাহানে, উঠতি তারকা সঞ্জু স্যামসন আর সদ্য ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া স্টুয়ার্ট বিনিকেও আইপিএল সেভেনে দেখা যাবে পুরনো টিমের জার্সিতেই।
মুম্বই, চেন্নাই আর রাজস্থান তিনটে টিম পাঁচ প্লেয়ার ধরে রেখে মোট ৬০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৯ কোটি টাকা খরচ করে ফেলল। এর মধ্যে প্রথম প্লেয়ার ধরে রাখার জন্য সাড়ে বারো কোটি, দ্বিতীয় প্লেয়ার ধরে রাখতে সাড়ে নয় আর তৃতীয়, চতুর্থ আর পঞ্চম প্লেয়ারে জন্য যথাক্রমে সাড়ে সাত, সাড়ে পাঁচ আর সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ করতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।
ফেব্রুয়ারির নিলামে ভাল দল গড়ার চ্যালেঞ্জ আর টিমের মূল প্লেয়ারদের থাকার ব্যাপারে ভারসাম্য রাখতে বেঙ্গালুরু আবার তিন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ক্রিস গেল, বিরাট কোহলি আর এবি ডে’ভিলিয়ার্সকে রাখছে। প্রায় একই পথে সানরাইজার্সও। বিশ্বের এক নম্বর পেসার ডেল স্টেইন আর শিখর ধবনকে রাখছে তারা। পঞ্জাব আবার গত বছর অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি করে চমকে দেওয়া আর এক দক্ষিণ আফ্রিকান প্লেয়ার ডেভিড মিলার আর স্থানীয় উঠতি ব্যাটসম্যান মনন ভোহরাকে ধরে রাখছে।
তবে আইপিএল সেভেন নিয়ে সবচেয়ে বড় চমক দিল্লির। প্রথমে জল্পনা চলছিল, দিল্লি হয়তো এ বার তিন প্লেয়ারকে রাখছে। কিন্তু পরে ডেয়ারডেভিলস ম্যানেজমেন্ট জানায়, এ বার কোনও প্লেয়ারকেই রাখা হচ্ছে না। তাদের গোটা টিমই উঠছে ১২ ফেব্রুয়ারির নিলামে। দিল্লি ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তে নিজের আইপিএল কেরিয়ারে এই প্রথম বার নিলামে উঠতে চলেছেন বীরেন্দ্র সহবাগ। এমনকী কেভিন পিটারসেন আর অ্যাসেজে প্রায় সাড়ে পাঁচশো রান করা ডেভিড ওয়ার্নারের মতো টি-টোয়েন্টি তারকাকেও ধরে রাখল না দিল্লি। ডেয়ারডেভিলসের তরফে বিবৃতিতে যদিও বলা হয়েছে, “ম্যানেজমেন্টের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নতুন দল গড়া। যে দল নিয়ে ফ্যানরা গর্ব করতে পারবে।” কোনও প্লেয়ারই না রাখায় আইপিএল সেভেনের নিলামে ৬০ কোটি টাকাই খরচ করতে পারবে দিল্লি। |
পুরনো খবর: গেইল, কোহলিকে রেখে দিল বেঙ্গালুরু |
|
|
|
|
|