|
|
|
|
মিথ্যে মামলার নালিশ, পুলিশকর্তার দ্বারস্থ তরুণী
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বাবা-মাকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়ে সাদা কাগজে টিপসই করানোর অভিযোগ তুলে পুলিশকর্তার দ্বারস্থ হলেন এক তরুণী। শুক্রবার দুপুরে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখরের কার্যালয়ে এমনই একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন পিংলার টুঙ্গুর গ্রামের সাবেদা খাতুন। একটি জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ৭ জানুয়ারি বছর সত্তরের বৃদ্ধ শেখ ওলি ও তাঁর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও চুরির অভিযোগে ধরে পিংলা পুলিশ। তার প্রেক্ষিতেই এ দিন এই লিখিত অভিযোগ করেন শেখ ওলির মেয়ে সাবেদা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর খানেক ধরেই টুঙ্গুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ অলির বাড়ি সংলগ্ন একটি জমিকে ঘিরে দীর্ঘ দিনের বিবাদ রয়েছে। জলচকের বাসিন্দা শেখ ইসরাইলের সঙ্গে সেই বিবাদের জেরেই গত বছরের অগস্টে শেখ ওলির বাড়িতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়ে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ ওঠে। গোটা ঘটনার সুবিচার চেয়ে স্থানীয় থানা থেকে মুখ্যমন্ত্রী নানা স্তরে অভিযোগ জানান ওই পরিবার। কিন্তু এর পরেই চাপ আরও বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ সাবেদা খাতুনের। |
|
খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানোর
পর পিংলার শেখ অলি ও তাঁর দুই মেয়ে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
সাবেদা লিখিত ভাবে জানান, গত ৬ জানুয়ারি রাতে ফের তাঁদের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তখন সাবেদা ও তাঁর বোনের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও তাঁদের অভিযোগ। পুলিশ উল্টে পরের দিন সকালে সাবেদার মা নুরি বিবি ও সত্তোরোর্ধ্ব বাবা শেখ ওলিকে শ্লীলতাহানি ও চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে সে দিনই আদালতে তাঁরা জামিন পেয়ে যান। সাবেদা ও তাঁর বোনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ থাকায় তাঁরাও আগাম জামিন নিয়েছেন।
বাড়ির মহিলাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ কেন? পিংলা থানার ওসি পঙ্কজ মিস্ত্রির ব্যাখ্যা, “বাবার সঙ্গে ওই দুই বোন ছিলেন বলে ওঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়।” পুলিশ তাহলে যাচাই না করেই অভিযোগ নিয়েছে? পঙ্কজবাবুর জবাব, “বিষয়টি এখনও তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে।”
এই পরিস্থিতিতে ওই পরিবার পিংলা থানার উপর ভরসা করতে না পেরে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। সাবেদা এ দিন বলেন, “পরিবারের সকলেই শ্লীলতাহানি ও চুরির দায়ে অভিযুক্ত। কয়েক জন স্বার্থান্বেষী পুলিশের সহযোগিতায় চাপ সৃষ্টি করছে। বাবা বাড়িতে ফেরার পরে জানতে পারি থানার ওসি সাদা কাগজে টিপসই নিয়েছেন। ওই টিপসই দিয়ে জমিটা হাতিয়ে নেবে বলে আশঙ্কায় রয়েছি। তাই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সব জানিয়েছি।” এ দিন এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখরের আশ্বাস, “যদি মিথ্যা মামলা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|