|
|
|
|
আজ তৃণমূলের পরিবর্তন র্যালি, উৎসাহ নেই রাঁচিতে
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি
১০ জানুয়ারি |
লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডে খাতা খুলতে চাইছে তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনেও তারা সেই প্রয়াস চালিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ আসনে জামানত খুইয়ে রণে ভঙ্গ দিতে হয়েছিল ভিন রাজ্যের দলটিকে।
তবে এই বার তাঁদের সংগঠন এ রাজ্যে খানিকটা মজবুত বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। কালীপুজোর পরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ‘জন-সম্পর্ক সমাবেশ’ করে মানুষের ঘরে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেছে মমতার দল। শেষ পর্যন্ত শনিবার রাঁচিতে ‘পরিবর্তন র্যালি’-র ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে মমতা নয়, তাঁর লেফটেন্যান্টরাই এই সমাবেশের মধ্যমণি। যেখানে অবশ্যই তৃণমূলের হাতিয়ার, পশ্চিমবঙ্গে সাড়ে তিন দশকের বাম জমানার অবসান ঘটানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের দীর্ঘ কাহিনী।
তবে রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরগুলির ব্যাখ্যা, এখানে মমতার দলের সাংসদ কে ডি সিংহই এ রাজ্যে তৃণমূলের পথে বড় কাঁটা। রাজ্য তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে শনিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুকুল রায়, ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, শান্তিরাম মাহাতোর মতো পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতারা। একই সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত থাকার কথা কে ডি সিংহেরও। আসলে কে ডি হরিয়ানার মানুষ হলেও ঝাড়খণ্ড থেকেই তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের শুরু।
এখানে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার টিকিটে রাজ্যসভায় যান কে ডি। আর তারপরেই দল বদলে নাম লেখান তৃণমূলে। সেই ক্ষত এখনও শিবু সোরেনের জেএমএমের কাছে দগদগে। দলের মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “মুকুলবাবুদের কাছে অনুরোধ, এ রাজ্যে অযথা অর্থের অপব্যায় করবেন না। কারণ এখানে কে ডি সিংহ একাই তাঁদের দলকে হারিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। রাজ্যসভার ভোটে ঘুষ দেওয়া থেকে শুরু করে চিটফান্ডের ব্যবসা---সব ধরনের অভিযোগ রয়েছে ওঁর বিরুদ্ধে। ওঁকে নিয়ে তৃণমূল এ রাজ্যে রাজনীতি করতে পারবে না। ভোট পাওয়া তো দূরের কথা।” তবে সে সবে কান দিচ্ছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সভার চব্বিশ ঘন্টা আগে নাম না করে এ রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলিকে আক্রমণ করেছেন মুকুলবাবু। তিনি বলেন, “রাজ্য গঠনের ১৪ বছর পরেও ঝাড়খণ্ডের কোনও উন্নতি হয়নি। যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়েছে ঝাড়খণ্ড। পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন এসেছে। এ বার ঝাড়খণ্ডেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পরিবর্তন আসবে।” |
|
|
|
|
|