|
|
|
|
|
|
|
নৃত্য সমালোচনা... |
|
অপরূপ সেই বাণী |
প্রমিতা মল্লিকের অনুষ্ঠান সায়েন্স সিটিতে। লিখছেন বারীন মজুমদার। |
‘এ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের দিন’ রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে ‘ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশন’-এর অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবেই তাঁর ভাষণ দিলেন। রবীন্দ্রনাথ যে বিশ্বভ্রাতৃত্বের কথা বলেছিলেন প্রকৃত অর্থে ‘বৈকালী’ সেই চিন্তাকেই মাথায় রেখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিন্যাস করেছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা, পরিচালনা সব কিছুই সংস্থার কর্ণধার প্রমিতা মল্লিকের। ইংরেজি ও বাংলার সংমিশ্রণে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন শর্মিলা ঠাকুর, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুগত বসু, হর্ষ নেওটিয়া, সঙ্গীতা দত্ত, সাসা বোপল, প্রমিতা স্বয়ং ও অ্যালিসন সিবলি। |
|
সচরাচর যে ধরনের অনুষ্ঠান আমরা দেখে থাকি প্রকৃত অর্থেই এদিনের অনুষ্ঠান তার ব্যতিক্রম। প্রমিতার কণ্ঠে তিনটি একক গান ছাড়া সমস্ত গানই ছিল সমবেত এবং প্রত্যেকটি গান এতটাই সুমহড়া যুক্ত যা অন্য দলগুলির কাছে শিক্ষণীয়। এ ছাড়াও ‘তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী’ গানটি একালের স্বনামখ্যাত শিল্পীরা সমবেত ভাবে গাইলেন। এটাই ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ। প্রত্যেক শিল্পীই তাঁদের নিজ নিজ পাঠে ও আবৃত্তিতে এতটাই সন্নিষ্ঠ যা প্রকৃতই বিরল এবং এঁদের কাজের সঙ্গে সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষরা যথেষ্টই পরিচিত। কিন্তু হর্ষ নেওটিয়ার পরিশীলিত কণ্ঠে চমৎকার ইংরেজি পাঠ শ্রোতাদের কাছে একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিল। যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনায় শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন বর্ষিয়ান পূর্ণিমা ঘোষ, অলকানন্দা রায়, প্রীতি পটেল, শর্মিলা বিশ্বাসের মতো শিল্পী। প্রমিতার পরিবেশিত তিনটি গানই এদিনের বিরল প্রাপ্তি বিশেষ করে ‘আজি ঝড়ের রাতে’ গানের সঙ্গে অলকানন্দার নৃত্যনির্মিতি যুগ্ম প্রতিভার এক সুন্দর উপহার। |
|
|
|
|
|