উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার বর্তমান বোর্ড ভেঙে দেওয়া উচিত বলে শুক্রবার মহাকরণে মন্তব্য করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ওই পুরসভা একাধিক বেআইনি কাজ করছে বলে মন্ত্রী অভিযোগ করেন। বিভিন্ন বেআইনি কাজের ব্যাখ্যা চেয়ে তাঁর দফতর থেকে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভাকে একটি চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। যদিও মন্ত্রীর উল্লেখ করা বিষয়গুলির কোনওটাই বেআইনি ভাবে করা হয়নি বলে দাবি করেছেন রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায়।
রাজারহাটের পুরনো ধাপার মাঠে পুরসভা একটি স্টেডিয়াম তৈরি করছে। যার জন্য খরচ হবে ৬ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু পুরবোর্ড ওই স্টেডিয়াম তৈরির জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি বলে মন্ত্রীর অভিযোগ। মন্ত্রী বলেন, “এটা পশ্চিমবঙ্গ পৌর আইনের ৭৩এ ধারাকে এড়িয়ে গিয়ে করা হয়েছে।” এই স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ২০০৯-১০ সাল থেকে প্রতি বছর বাড়ির নকশার অনুমতি দেওয়ার সময় ডেভেলপমেন্ট ফি-এর নামে ১০ শতাংশ হারে টাকা নিচ্ছে পুরসভা বলে অভিযোগ। এটাও পুর আইন ভেঙেই করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। বেআইনি ভাবে ১৭৮৫ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এ ছাড়াও, ২০১২ সালের সিএজি রিপোর্টে ওই পুরসভার হিসেব সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুতর বিচ্যুতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। পুর-চেয়ারম্যান বলেন, “এই সব অভিযোগ জানিয়ে নগরোন্নয়ন দফতর থেকে আমাদের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমরা সময় চেয়েছিলাম এবং মাস দু’য়েক আগে এই সব অভিযোগের সবিস্তার জবাবও দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে মন্ত্রী বা তাঁর দফতরের কর্তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেননি। তার পরেও কেন মন্ত্রী এই সব কথা বলছেন তা বুঝতে পারছি না।” পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়ার প্রসঙ্গে তাপসবাবু জানিয়েছেন, একটি নির্বাচিত পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়া কতটা গণতান্ত্রিক কাজ হবে তা ভেবে দেখা উচিত। কর্মী নিয়োগ প্রসঙ্গে তাপসবাবু বলেন, “হাইকোটের্র্র নির্দেশেই ওই সব নিয়োগ করা হয়েছে।” |