ঠাকুরপুকুর রোড থেকে করুণাময়ী মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত মহাত্মা গাঁধী রোডের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিগন্যাল নেই। ফলে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ ভাবে পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
মহাত্মা গাঁধী রোড ব্যস্ত রাস্তা। এই রাস্তার ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালের সামনে, কেওড়াপুকুর মোড়ের মতো কয়েকটি জায়গায় সিগন্যাল নেই। এই সব মোড়ে প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে হয় বলে অভিযোগ। আবার ধাড়াপাড়ার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও সিগন্যাল বসানোর দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সিগন্যাল না থাকায় সব চেয়ে সমস্যা হয় বয়স্ক বাসিন্দাদের। |
নেই সিগন্যাল। এ ভাবেই যান চলাচল। ছবি: অরুণ লোধ। |
কেওড়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা অরূপ মণ্ডল বলেন, “গত পাঁচ-ছ’বছরে যে হারে গাড়ি এবং মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তাতে আরও কয়েকটি মোড়ে সিগন্যাল দরকার।” আর এক বাসিন্দা গীতা সরকার বলেন, “অফিসের সময়ে, সন্ধ্যায় এই রাস্তার কয়েকটি মোড়ে গাড়ি এত বেড়ে যায় যে রাস্তা পার করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। আরও কয়েকটি মোড়ে সিগন্যাল থাকলে ভাল হয়।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তায় তীব্র গতিতে গাড়ি চলে। ফলে আরও কয়েকটি মোড়ে সিগন্যাল থাকলে তাও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
ট্রাফিক পুলিশের কর্তাদের দাবি, এলাকাটি কলকাতা পুলিশের আওতায় আসার পরে রাস্তার ধারে বেআইনি হকার তুলে দেওয়া হয়। ফলে রাস্তাটি অনেকটা চওড়া হয়েছে। তা ছাড়া সকাল ও বিকেলের কিছু সময় ছাড়া ওই রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা খুব বেশি থাকে না। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যেগুলি দুর্ঘটনাপ্রবণ এবং বিপজ্জনক, সেখানে ইতিমধ্যেই সিগন্যাল বসানো হয়েছে। তবে জেমস লং সরণি এবং মহাত্মা গাঁধী রোডের সংযোগস্থলে সিগন্যাল বসানোর কাজ এখনও বাকি আছে।
ডিসি ট্র্যাফিক দিলীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাছে ওই রাস্তায় সিগন্যাল বসানোর জন্য স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে অনুরোধ এসেছে। করুণাময়ী ও কবরডাঙার মোড়ে আমরা সিগন্যাল লাগিয়েছি। আরও সিগন্যাল লাগানোর চিন্তা রয়েছে।” |