শিল্পোৎপাদন কমলো,
বাড়ল বাণিজ্য ঘাটতিও

জোড়া দুঃসংবাদ।
দেশের অর্থনীতির দ্রুত ছন্দে ফেরার সম্ভাবনাকে জোরালো ধাক্কা দিয়ে ফের কমলো শিল্পোৎপাদন। বাড়ল বাণিজ্য ঘাটতিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমনিতেই লোকসভা ভোটের প্রচারে ইউপিএ সরকারকে বিঁধতে অর্থনীতির বেহাল দশাকে প্রধান অস্ত্র করছেন নরেন্দ্র মোদী। তার উপর শুক্রবার কেন্দ্র প্রকাশিত এই জোড়া পরিসংখ্যান আরও বেশি করে অস্বস্তিতে ঠেলে দেবে মনমোহন-সরকারকে। দেশের আর্থিক অবস্থার এই বিবর্ণ ছবি লগ্নিকারীদেরও বিমুখ করতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃদ্ধি তো দূর অস্ৎ, গত নভেম্বরে শিল্পে সরাসরি উৎপাদন কমেছে ২.১%। সঙ্কোচনের নিরিখে ২০১৩ সালের মে মাসের (২.৫%) পর যা সব থেকে বেশি। অক্টোবরে শিল্প সঙ্কুচিত হওয়ার পর কেন্দ্রের দাবি ছিল, সবচেয়ে খারাপ সময় কেটেছে। এ বার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে শিল্প। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, উৎপাদন কমেছে আরও বেশি হারে। স্বাভাবিক ভাবেই এতে রক্তচাপ বেড়েছে শিল্পমহলেরও। যে কারণে পরিস্থিতি শোধরাতে সুদ কমানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে এ দিন ফের আর্জি জানিয়েছে তারা।
নভেম্বরে শিল্প সূচককে শূন্যের নীচে টেনে নামানোয় অন্যতম প্রধান ভূমিকা উৎপাদন শিল্পের। কারণ, ওই সময় কল-কারাখানায় উৎপাদন কমেছে ৩.৫%। অবস্থা শোচনীয় ভোগ্যপণ্য শিল্পেরও। তার উৎপাদন কমেছে ৮.৭%। বিশেষ করে ফ্রিজ-টিভির মতো যে সব ভোগ্যপণ্য ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গেই ফুরিয়ে যায় না, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তার উৎপাদন প্রায় ২১.৫% সঙ্কুচিত হয়েছে।
দুর্দশার একই ছবি বাণিজ্যেও। বাণিজ্য মন্ত্রকের হিসাব বলছে, গত ডিসেম্বরে পরিকল্পনামাফিক আমদানি কমলেও, রফতানি বেড়েছে মাত্র ৩.৪৯%। নভেম্বরের (৫.৮৬%) থেকে তো বটেই, গত ছ’মাসেও তা সর্বনিম্ন। ফলে বেড়েছে বাণিজ্য ঘাটতি। নভেম্বরের ৯২২ কোটি ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ডিসেম্বরে তা ছুঁয়েছে ১,০১৪ কোটি।
অবশ্য বাণিজ্য সচিব এস আর রাওয়ের দাবি, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হঠাৎ করে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের শোধনাগার বন্ধ হওয়াতেই মার খেয়েছে পেট্রোপণ্যের রফতানি। যার প্রভাব পড়েছে পরিসংখ্যানে। নইলে ইঞ্জিনিয়ারিং, রাসায়নিক, বস্ত্র-সহ বাকি প্রায় সব ক্ষেত্রেই রফতানি ভালই বেড়েছে।
শিল্প নিয়েও আশার রুপোলি রেখা খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেকে। তাঁদের মতে, উৎপাদন শিল্প, ভোগ্যপণ্য এ বার ডুবিয়েছে। কিন্তু বৃদ্ধির মুখ দেখেছে মূলধনী পণ্য। আগামী দিনে লগ্নি কেমন হবে, তার কিছুটা আঁচ মেলে এর থেকে। উৎপাদন বেড়েছে খনন, বিদ্যুৎ ইত্যাদি শিল্পেও। তবে সার্বিক ভাবে শিল্প ঘুরে না-দাঁড়ালে, লগ্নি ও ভোট দুই-ই টানা কঠিন হবে বলে তাঁদের মত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.